গত দুই দিন ধরে সিলেটে ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে জেলার প্রায় সব নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যা দেখা দিয়েছে সিলেটের সব উপজেলায়।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিলেট কার্যালয়ের তথ্যমতে, মঙ্গলবার (১৮ জুন) সকাল ৯টা পর্যন্ত সুরমা নদীর কানাইঘাট ও সিলেট পয়েন্ট, কুশিয়ারা নদীর আমলশিদ ও ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্ট এবং সারি নদ ও গোয়াইন নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে গোয়াইনঘাট উপজেলার সব ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। বন্যা মোকাবিলায় উপজেলা প্রশাসন থেকে সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রস্তুত করা হয়েছে ৫৬টি আশ্রয়কেন্দ্র। অতি ঝুঁকিপূর্ণ ও প্লাবন প্রবণ এলাকার জনগণকে দ্রুত আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিতে বলা হয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সনজিত কুমার দাশ বলেন, ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ধলাইসহ উপজেলার সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। প্লাবিত হয়েছে কয়েকটি ইউনিয়ন। কিছু যায়গায় রাস্তাঘাট তলিয়ে বন্ধ রয়েছে যান চলাচল।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজিব হোসাইন বলেন, মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত সিলেটে ৪৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় ১৫৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। আগামী ৭২ ঘণ্টা আরও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার রয়েছে।
পাউবো সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, ভারতের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টিপাতের কারণে সিলেটের সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন যদি সেখানে এভাবে বৃষ্টিপাত অবিরাম চলতেই থাকে, তাহলে সিলেটের অবস্থা আরও ভয়াবহ হবে। চেরাপুঞ্জিতে যদি প্রতিদিন ২০০ মিলিমিটারের অধিক বৃষ্টিপাত হয় তা হলে সিলেটে বড় বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।