খেলাধুলা

রাতে মাঠে নামছে রোনালদোর পর্তুগাল

রাতে মাঠে নামছে রোনালদোর পর্তুগাল

ইউরোর বাছাইপর্বে একমাত্র দল হিসেবে সবগুলো ম্যাচ জিতেছিল পর্তুগাল। কোচ রাবার্তো মার্টিনেজের বহরে আছে অভিজ্ঞ ও তরুণ প্রতিভাবান সব ফুটবলার। যাদের নিয়ে ইউরো-২০২৪ এর শেষ পর্যন্ত যাওয়া সম্ভব বলেই বিশ্বাস করেন তিনি। ইউরোর এবারের আসরে ‘এফ’ গ্রুপে পর্তুগালের মিশন শুরু হচ্ছে আজ থেকে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টায় তাদের প্রতিপক্ষ চেকপ্রজাতন্ত্র তথা চেকিয়া।

চেকপ্রজাতন্ত্র অবশ্য পর্তুগালের চেনা প্রতিপক্ষ। এর আগে ইউরোতে তিন-তিনবার মুখোমুখি হয়েছিল তারা। ১৯৯৮ সালে প্রথম দেখায় পর্তুগালকে ১-০ গোলে হারিয়েছিল চেকিয়া। তবে পরের দুই দেখায় দুইবারই জিতেছে পর্তুগাল। ২০০৮ সালে ৩-১ ব্যবধানে ও ২০১২ সালে জিতেছিল ১-০ ব্যবধানে।

এছাড়া চেকিয়ার বিপক্ষে সবধরনের প্রতিযোগিতায় সবশেষ চার ম্যাচে জয় পেয়েছে পর্তুগাল। এ সময় তারা চেকপ্রজাতন্ত্রের জালে জড়িয়েছে ১০ গোল। একটি করেছে কেবল হজম। সবশেষ তিন ম্যাচে তারা কোনো গোল হজম করেনি।

পর্তুগালের হয়ে এবারও খেলছেন ৩৯ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। যিনি ইউরোর বাছাইপর্বে ১০ গোল করেছেন। যার দখলে রয়েছে ইউরোর ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ (২৫) খেলার রেকর্ড, সবচেয়ে বেশি গোলের (১৪) রেকর্ড, যৌথভাবে সবচেয়ে বেশি অ্যাসিস্টের (৬) রেকর্ড এবং অংশ নেওয়া প্রত্যেক আসরে কমপক্ষে একটি হলেও গোল করার রেকর্ড। এবার তিনি রেকর্ড ষষ্ঠবারের মতো ইউরো খেলতে মাঠে নামবেন এবং সবগুলো রেকর্ড বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ পাবেন।

এই বয়সেও রোনালদো কেন জাতীয় দলে সেটা নিয়ে আগে-পিছে বেশ আলোচনা হয়। তবে কোচ মার্টিনেজ জানিয়েছেন, রোনালদো তার নামের জন্য নয়, যোগ্যতা দিয়েই জাতীয় দলে এসেছেন, ‘রোনালদো তার যোগ্যতা দিয়েই জাতীয় দলে আছে। কেউ-ই কেবল তার নামের কারণে দলে আসেনি। আল নাসরের হয়ে রোনালদো ৫০ ম্যাচে ৫১ গোল করেছে। আমাদের জন্য সে গোলস্কোরার, এমন একজন যে চূড়ান্ত চাল দিতে পারে, যে প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগের খেলোয়াড়দের ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ফেলতে পারে, স্পেস তৈরি করতে পারে।’

আজকের ম্যাচে নিঃসন্দেহে ফেভারিট পর্তুগাল। শুধু তাই নয়, ইউরোর ফাইনাল পর্যন্ত যাওয়ার ক্ষেত্রেও ফেভারিটের তালিকায় আছে পর্তুগীজরা। তারা যদি আজ চেকিয়ার কাছে হেরে যায় তাহলে সেটা অঘটন ছাড়া কিছু হবে না।

তবে চেকিয়া নিশ্চয়ই ছেড়ে কথা বলবে না পর্তুগালকে। ইউরোতে মাঠে নামার আগে তারা ২-১ গোলে হারিয়ে এসেছে নর্থ মেসিডোনিয়াকে। এছাড়া সব ধরনের প্রতিযোগিতায় সবশেষ পাঁচ ম্যাচেই জিতেছে তারা। চেকপ্রজাতন্ত্র ১৯৭৬ সালে জিতেছিল ইউরো। ১৯৯৬ সালে রানার্স-আপ হয়েছিল। ২০০৪ সালে খেলেছিল সেমিফাইনাল। এছাড়া সবশেষ তিনটি টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছে তারা। ২০২০ ইউরোতেও খেলেছিল কোয়ার্টার ফাইনাল। এবারও তারা ভালো করতে বদ্ধ পরিকর। সে যাত্রায় শুরুতেই মুখোমুখি শক্তিশালী পর্তুগালের।

পর্তুগালের সম্ভাব্য শুরুর লাইনআপ: কস্তা, কানসালো, পেপে, দিয়াস, মেন্ডেস, পলহিনহা, ভিতিনহা, ফার্নান্দেস, লিয়াও, রোনালদো ও বার্নার্ডো।

চেক প্রজাতন্ত্রের সম্ভাব্য শুরুর লাইনআপ: স্ট্যানেক, হোলস, হ্রেনাক, ক্রেজসি, কওফল, সোচেক, প্রভোদ, বারাক, জুরাসেক, কুচতা ও এসচিক।