বিশ্বকাপের শুরুর দুই ম্যাচে সাকিব আল হাসান ছিলেন নিষ্প্রভ। পরের দুই ম্যাচে উজ্জ্বল। তাতে দুই সপ্তাহে সাকিবের অভিজ্ঞতা হলো দুই রকম।
বিশ্বকাপ শুরুর আগে অলরাউন্ড র্যাংকিংয়ে শীর্ষে উঠে এসেছিলেন বাংলাদেশের সুপারস্টার। কিন্তু শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সাকিবের পারফরম্যান্স প্রত্যাশামত না হওয়ায় এক লাফে পাঁচ ধাপ অবনমন হয় তার। এক থেকে সোজা পাঁচে চলে যান।
গ্রুপ পর্বের পরের দুই ম্যাচে একটিতে সাকিব ফিফটি পান। পরেরটিতে ১৭ রান ও ২ উইকেট নেন। ব্যাট-বলে ছন্দে ফেরায় তার র্যাংকিংয়ে আবার উন্নতি হয়েছে। দুই ধাপ এগিয়ে সাকিব এখন অলরাউন্ড র্যাংকিংয়ে তিনে।
এদিকে বিশ্বকাপে ব্যাট-বলে দারুণ পারফরম্যান্সের কারণে অস্ট্রেলিয়ার মার্কোস স্টয়নিস এই সংস্করণে অলরাউন্ড র্যাংকিংয়ে শীর্ষে উঠেছেন। একধাপ এগিয়ে স্টয়নিস এখন শীর্ষে। তার রেটিং পয়েন্ট ক্যারিয়ার সেরা ২৩১।
২২২ রেটিং নিয়ে দুই নম্বরে শ্রীলঙ্কার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। ২১৮ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে সাকিব আছেন তিন নম্বরে। এছাড়া মোহাম্মদ নবী তিন ধাপ পিছিয়ে আছেন চতুর্থ স্থানে।
বুধবার আইসিসি র্যাংকিং হালনাগাদ করে।
এদিকে বাংলাদেশি পেসার তানজিম হাসান সাকিব বোলিং র্যাংকিংয়ে বিশাল লাফ দিয়েছেন। ২৮ ধাপ এগিয়েছেন তিনি। গ্রুপ পর্বে ৪ ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৯ উইকেট পেয়েছেন তানজিম। যেখানে তার বোলিং গড় কেবল ৮। ইকোনমি ৪.৮০। নেপালের বিপক্ষে ২৪ বলের ২১টিই ডট দিয়ে বিশ্বকাপের ম্যাচে সর্বোচ্চ ডট বল দেওয়ার রেকর্ডও গড়েছিলেন তানজিম।
নিউ জিল্যান্ডের পেসার ম্যাট হেনরির সঙ্গে যৌথভাবে ৬৯তম স্থানে আছেন তানজিম। এছাড়া লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনের তিন ধাপ উন্নতি হয়েছে। ৩০ থেকে ২৭তম স্থানে এসেছেন।