স্পেন ইউরো জিতেছে ৩ বার। যা ইউরোর ইতিহাসে সর্বোচ্চ। ইতালি জিতেছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দুইবার। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন তারা। এবারের আসরও উভয় দল জয় দিয়ে শুরু করেছে। প্রথম ম্যাচে স্পেন ৩-০ গোলে হারিয়েছে ক্রোয়েশিয়াকে। আর ইতালি শুরুতে পিছিয়ে পড়েও আলবেনিয়ার বিপক্ষে জয় পেয়েছে ২-১ গোলে।
নকআউটে চোখ রেখে এবার হাইভোল্টেজ ম্যাচে মুখোমুখি হবে দল দুটি। বাংলাদেশ সময় আজ রাত ১টায় এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে লড়বে দল দুটি।
১৯৬৪, ২০০৮ ও ২০১২ সালে ইউরো জেতা স্পেন শিরোপার সংখ্যাটা এবার চারে উন্নিত করতে চায়। লুইস দে লা ফুয়েন্তের শিষ্যরাও সেই লক্ষ্যেই শুরুটা দারুণ করেছে। ফুয়েন্তের তত্ত্বাবধানে সবশেষ ১১ ম্যাচ খেলে স্পেন হেরেছে মাত্র ১টিতে। সবশেষ সাত ম্যাচের সবকটিই জিতেছে তারা। ২০১৭ এর পর সবচেয়ে সেরা একটি দল নিয়ে এবার খেলছে ২০১০ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
ইতালির বিপক্ষে স্পেনের জয়ের রেকর্ড রয়েছে। সবশেষ উয়েফা ন্যাশন্স লিগের সেমিফাইনালেও তারা হারিয়েছে দ্য ব্লুজদের। তবে ইতালির বিপক্ষে কখনোই টানা তিন ম্যাচে জিতেনি লা রোজারা।
অন্যদিকে ২০২০ ইউরোতে স্পেনকে টাইব্রেকারে হারিয়েছিল ইতালি। আবার ন্যাশন্স লিগে স্পেনের কাছে হারার পর সবশেষ ১২ ম্যাচে মাত্র ১টিতে হেরেছে আজ্জুরিরা। তার মধ্যে জিতেছে ৮টিতে। এবার স্পেনের পর দ্বিতীয় দল হিসেবে ব্যাট টু ব্যাক ইউরোর শিরোপা জয়ে চোখ ইতালির।
তবে আজকের ম্যাচে জয় জরুরি নয় স্পেন কিংবা ইতালির জন্য। একটি পয়েন্ট পেলেই উভয় দলের নিশ্চিত হবে নকআউট পর্ব। এখন দেখার বিষয় তারা কি পয়েন্ট ভাগাভাগি করে নাকি পূর্ণ ৩ পয়েন্ট পেতেই মাঠে নামে।
স্পেনের সম্ভাব্য শুরুর লাইনআপ: সিমন, কারবাহাল, লে নরমান্ড, নাচো, কুকুরেল্লা, পেদ্রি, রদ্রি, রুইজ, ইয়ামাল, মোরাতা ও উইলিয়ামস।
ইতালির সম্ভাব্য শুরুর লাইনআপ: দোনারুম্মা, ডি লরেঞ্জো, বাস্তোনি, ক্যালাফিওরি, ডিমারকো, জর্গিনহো, বারেলা, ফ্র্যাত্তেসি, পেলেগ্রিনি, কিয়েসা ও স্কামাক্কা।