লিওনেল মেসি মাঠে নামবেন আর রেকর্ড হবে না, সেটা তো অসম্ভব! কোপা আমেরিকার এবারের আসরে মাঠে নামার আগেই মেসির সামনে কয়েকটি রেকর্ড উঁকি দিচ্ছিলো। প্রথম ম্যাচে মাঠে নামার মধ্যে দিয়ে দুটি রেকর্ড স্পর্শ করেছেন আর্জেন্টাইন তারকা।
কানাডার বিপক্ষে আজ মাঠে নেমে কোপা আমেরিকার ইতিহাসে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার তালিকায় শীর্ষে পৌছে গেলেন মেসি। রেকর্ডটা প্রায় তিন বছর ধরে আরেকজনের সঙ্গে ভাগ করতে হচ্ছিলো। এককভাবে রেকর্ডে নাম লেখানোর অপেক্ষা ফুরালো চলমান আসরের প্রথম ম্যাচেই।
এ নিয়ে কোপার সাতটি আসরে খেলতে নামা মেসির এটি ছিল ৩৫তম ম্যাচ। পেছনে ফেলেছেন চিলির প্রয়াত গোলকিপার সার্জিও লিভিংস্টোনকে। ১৯৪১ থেকে ১৯৫৩ সালের মধ্যে লিভিংস্টোন সাত আসর মিলিয়ে ৩৪ ম্যাচ খেলেছিলেন।
এই ম্যাচে আরও একটি রেকর্ড গড়েন মেসি। প্রথম আর্জেন্টাইন ফুটবলার হিসেবে সর্বোচ্চ কোপা আমেরিকা খেলার রেকর্ডে নাম লেখালেন বিশ্ব জয়ী তারকা। ২০০৭ সালে ভেনেজুয়েলায় অনুষ্ঠিত আসরে মেসির অভিষেক, চলতি আসর নিয়ে সংখ্যাটি দাঁড়ালো সাত-এ।
মেসির নতুন রেকর্ডের দিনে প্রত্যাশিতভাবে কানাডার বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে জয় পেয়েছে আর্জেন্টিনা। দুটি গোলেই অবদান রেখেছেন মেসি। তবে নিজে একাধিক গোলের সুযোগ নষ্ট করেছেন। গোলরক্ষককে একা পেয়েও জাল খুঁজে নিতে ব্যর্থ হন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক।
ম্যাচ শেষে মেসিও স্বীকার করলেন জয়টা আরও বড় হতে পারতো, ‘আমাদের জন্য আজ জায়গা খুঁজে পাওয়া কঠিন ছিল। বেশিরভাগ প্রতিদ্বন্দ্বীই আমাদের চেয়ে ভিন্নভাবে খেলে থাকে। বলের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে ও এক পাশ থেকে অন্য পাশে নিয়ে যেতে আমাদের ধৈর্য্য ধরতে হয়েছে। আগামী ম্যাচগুলোতেও সুযোগ এলেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিতে হবে।’
আর্জেন্টিনার পরের ম্যাচ আগামী বুধবার চিলির বিপক্ষে।