নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় সদ্য সমাপ্ত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের জের ধরে কাশীপুর ইউনিয়নের চালিঘাট গ্রামে একদল দূর্বৃত্ত হামলা চালিয়ে ও কুপিয়ে তিন জনকে গুরুতর আহত করেছে। হামলার ঘটনার পর পুলিশের সহযোগিতায় আহতদের লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার (২১ জুন) রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাদের ওপর হামলা করা হয়।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কাশীপুর ইউনিয়নের চালিঘাট গ্রামের ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শরিফুল ইসলামসহ তার সমর্থকরা সদ্য সমাপ্ত উপজেলা নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী রুনু শিকদারের পক্ষে কাজ করেন। আহতরা বিজয়ী চেয়ারম্যান ফয়জুল হক রোমের পক্ষে কাজ করেন। এ নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এর জের ধরে শুক্রবার (২১ জুন) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ইউপি সদস্য শরিফুল ইসলামের নেতৃত্ব একদল দূর্বৃত্ত দেশীয় অস্ত্র রামদা, চাপাতি, সুড়কি ও লাঠিসোঁটা নিয়ে অতর্কিতভাবে চালিঘাট গ্রামে হামলা চালায়। আহতরা হলেন, রমেশ হীরা (৪৮), প্রকাশ বিশ্বাস (৪৫) এবং হরিদাস বাইন (৪০)। হামলার ঘটনার পর দূর্বৃত্তদের ভয়ে আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয়নি। পুলিশের সহযোগিতায় রাত ৯টার দিকে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চালিঘাট ও গন্বব গ্রামে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য শরিফুল ইসলাম শনিবার (২২ জুন) বিকালে বলেন, ‘আমার দলীয় লোক কাউকে মারপিট বা কুপিয়ে আহত করেনি। প্রতিপক্ষের লোকজন আমার বিরুদ্ধে দোষ চাপিয়ে দিচ্ছে।’
লোহাগড়া থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আহতদের রাতে উদ্ধার করে লোহাগড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’