স্কোর: বাংলাদেশ ১০৫/১০ (১৭.৫ ওভার), আফগানিস্তান ১১৫/৫ (২০ ওভার)
ফলাফল: আফগানিস্তান ৮ রানে জয়ী।
*** বৃষ্টি আইনে ১৯ ওভারে বাংলাদেশের টার্গেট নেমে আসে ১১৪ রানে ***
বাংলাদেশকে ৮ রানে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমি ফাইনালে গেল আফগানিস্তান। মোস্তাফিজুর রহমানকে এলবিডব্লিউ করে বাংলাদেশের শেষ উইকেট তুলে নেন পেসার নাবিন উল হক। আম্পায়ার আউট দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উল্লাসে ফেটে পড়ে আফগানিস্তানের ক্রিকেটাররা। কিন্তু রিভিউ থাকায় মোস্তাফিজ রিভিউ নেন। তাতে লাভ অবশ্য হয়নি। আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত টিকে যাওয়ায় বাংলাদেশের হার নিশ্চিত হয়ে যায়। ৪৯ বলে ৫৪ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন লিটন।
একই সঙ্গে গ্রুপ ১ থেকে অস্ট্রেলিয়ার বিদায়ও নিশ্চিত হয়ে যায়। বাংলাদেশ আজ জিতলে অস্ট্রেলিয়া সেমি ফাইনালে যেত। আফগানিস্তানের জন্য আজ ছিল ডু অর ডাই ম্যাচ। কারো ভরসায় না থেকে নিজেদের জয় নিজেরা নিশ্চিত করে আফগানিস্তান যোগ্য দল হিসেবেই গেল সেমি ফাইনালে। বৈশ্বিক ক্রিকেট আসরে এটাই আফগানিস্তানের সর্বোচ্চ সাফল্য।
সেমি ফাইনালে আফগানিস্তান খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। ইংল্যান্ডের প্রতিপক্ষ ভারত।
আফগান রূপকথার নায়ক নাভিন
৩.৫ ওভারে ২৬ রানে ৪ উইকেট নিয়ে আফগানিস্তানকে জিতিয়েছেন পেসার নাভিন উল হক। বাংলাদেশকে হারাতে ডানহাতি পেসারের বোলিং ছিল দুর্দান্ত। রশিদ খানও পেয়েছেন ৪ উইকেট। তবে নতুন বলে শুরুতে উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে ব্যাকফুটে পাঠানো, এরপর ফিরে এসে শেষ ২ উইকেট নিয়ে জয় নিশ্চিত করার কাজটা এ পেসার করেন। তাইতো ম্যাচ সেরার পুরস্কারটা গেছে তার হাতেই।
ম্যাচ জমিয়ে দিল আফগানিস্তান
শেষ ১২ বলে বাংলাদেশের জয়ের জন্য প্রয়োজন ১২ রান। আফগানিস্তান ২ উইকেট দূরে। পেসার নাভিন উল হক প্রথম ৩ বলে ৩ রান দিলেও চতুর্থ বলে ফেরান তাসকিন আহমেদকে। তাতে জমে উঠেছে ম্যাচ। বোল্ড হয়ে তাসকিন সাজঘরে ফিরেছেন ২ রানে। এরপর আবার বৃষ্টি হানা দেয়। তাতে ম্যাচ কিছু সময়ের জন্য বন্ধ থাকে। তাসকিনের উইকেটে বৃষ্টি আইনে আফগানিস্তান এগিয়ে যায়।
লিটনের ফিফটি, বাংলাদেশের একশ
নূর আহমেদকে সুইপ করে চার হাঁকিয়ে ৪৬ থেকে ৫০ রানে পৌঁছালেন লিটন দাস। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এটি তার প্রথম ফিফটি। ক্যারিয়ারের ১১তম। বাংলাদেশকে লড়াইয়ে রেখেছেন একমাত্র লিটন। তার ব্যাটে জয়ের স্বপ্ন আঁকছে বাংলাদেশ। লিটন বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচে ফিফটি পেয়েছেন। বাংলাদেশ নিজেদের শেষ ম্যাচে জয় পায় কিনা সেটাই দেখার। শেষ ১২ বলে ১২ রান প্রয়োজন বাংলাদেশের।
গুলবাদিন ফেরালেন তানজিমকে
হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট দেখিয়ে মাঠে হুট করে পড়ে গিয়েছিলেন তানজিম হাসান সাকিব। কিন্তু দুই ওভার পরই বল হাতে দৌড়ালেন গুলবাদিন। শুধু বোলিংই করলেন না, উইকেট পেয়ে আফগানিস্তানকে সাফল্যে ভাসালেন। তার শর্ট বল জায়গায় দাঁড়িয়ে পুল করতে গিয়ে কাভারে ক্যাচ দেন তানজিম। বাংলাদেশ হারাল অষ্টম উইকেট।
১৯ ওভারে বাংলাদেশের টার্গেট ১১৪ রান
তৃতীয় দফায় বৃষ্টিতে ১ ওভার কাটা গেছে। তাতে নতুন টার্গেট পেয়েছে বাংলাদেশ। ১৯ ওভারে বাংলাদেশের করতে হবে ১১৪ রান। এর আগে ২০ ওভারে বাংলাদেশের টার্গেট ছিল ১১৬ রান।
বিশ্বকাপ থেকে বিদায় বাংলাদেশ
১২.১ ওভারে ১১৬ রানের লক্ষ্য ছুঁতে পারলে বিশ্বকাপের সেমি ফাইনালে খেলার সুযোগ পেত বাংলাদেশ। আফগানিস্তান এবং অস্ট্রেলিয়াকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গী হতো। কিন্তু ১২.১ ওভারে ৮৩ রানের বেশি করতে পারেনি বাংলাদেশ। ফলে বিশ্বকাপ থেকে এখন আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে এই ম্যাচে জিতলেও কোনো লাভ হবে না। আফগানিস্তান যদি জিতে যায় তাহলে আফগানিস্তান সেমি ফাইনাল খেলবে। বাংলাদেশ ম্যাচটি জিতলে অস্ট্রেলিয়া যাবে সেমি ফাইনালে।
বৃষ্টি আইনে ২ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ
বৃষ্টিতে আবার বন্ধ হলো খেলা। এবার বেশ বিপদেই বাংলাদেশ। বৃষ্টি আইনে বাংলাদেশ ২ রানে পিছিয়ে। এ অবস্থায় খেলা বন্ধ হলে আফগানিস্তান জিতে যাবে। চলে যাবে সেমি ফাইনালে। বৃষ্টি আইনে বাংলাদেশের রান থাকার দরকার ছিল ৮৩। বৃষ্টিতে খেলা বন্ধের সময় ১১.৪ ওভারে বাংলাদেশের রান ছিল ৮১।
রশিদের ঘূর্ণিতে বেসামাল বাংলাদেশ
নিজের তৃতীয় ওভারে জোড়া উইকেট পেলেন রশিদ খান। প্রথমে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, পরে রিশাদ হোসনকে সাজঘরের পথ দেখান এই লেগ স্পিনার। সপ্তম উইকেট হারিয়ে চরম বিপদে বাংলাদেশ।
সেমি ফাইনালের দৌড় থেকে বাংলাদেশ ছিটকে গেছে আগেই। এখন মান বাঁচানোর লড়াই। মাহমুদউল্লাহ স্লগ করতে গিয়ে বল মিস করেন। বল তার ব্যাটে আলতো চুমু খেয়ে যায় উইকেটের পেছনে। আফগানিস্তানের আবেদনে আম্পায়ার সাড়া দেননি। রিভিউ নিয়ে মাহমুদউল্লাহকে (৯ বলে ৬ রান) ফেরান রশিদ। পরের বলেই রিশাদ আউট। স্লগ খেলতে গিয়ে বল মিস করে বোল্ড হন।
রশিদের দ্বিতীয় শিকার তাওহীদ
আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে আশা দেখাচ্ছিলেন তাওহীদ হৃদয়। কিন্তু ডানহাতি ব্যাটসম্যানকে ফেরানোর উত্তর জানা ছিল আফগানিস্তান অধিনায়কের। লেগ স্পিনারকে উড়াতে গিয়ে তাওহীদ ক্যাচ দেন মিড উইকেটে। ৯ বলে ১৪ রান করে আউট হন তাওহীদ। বাংলাদেশ হারাল পঞ্চম উইকেট।
রশিদের বলে বোল্ড সৌম্য
ফেরার ম্যাচে ১০ রানের বেশি করতে পারলেন না সৌম্য সরকার। রশিদ খানের বলে বোল্ড হয়ে আউট হয়েছেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। বাংলাদেশ হারাল চতুর্থ উইকেট। বিশ্বকাপের প্রথম দুই ম্যাচে রানের খাতা না খোলায় দল থেকে বাদ পড়েছিলেন সৌম্য। ফেরার ম্যাচেও রাঙাতে পারলেন না তিনি। দলকে বিপদে ফেলে ফিরলেন সাজঘরে।
বৃষ্টির পর আবার খেলা শুরু, কোনো ওভার কাটা যায়নি
বৃষ্টিতে ২৮ মিনিট খেলা বন্ধ থাকার পর আবার শূুরু হয়েছে। কোনো ওভার কাটা হয়নি। তবে এরপর আবার বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হলে ওভার কাটা শুরু হবে।
শান্তর আউটের পর সাকিবের গোল্ডেন ডাক
জোড়া উইকেটে বাংলাদেশকে ব্যাকফুটে পাঠালেন পেসার নাভিন উল হক। তৃতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসে ডানহাতি পেসারের পকেটে যায় ২ উইকেট। প্রথমে নাজমুল হোসেন শান্ত। পরে সাকিব আল হাসান আউট হন।
শান্ত ডিপ মিড উইকেটে নবীর হাতে ক্যাচ দেন। মাত্র ৫ রান করেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। সাকিব ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাজঘরে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এটি সাকিবের তৃতীয় গোল্ডেন ডাক। এর আগে ২০২২ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ও ২০১৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে গোল্ডেন ডাক পেয়েছিলেন সাকিব।
দ্রুত ২ উইকেট হারিয়ে চরম বিপদে বাংলাদেশ। বৃষ্টিতে খেলা আপাতত বন্ধ রয়েছে। লিটন ১৩ ও সৌম্য ৬ রানে ব্যাটিং করছেন।
বিশ্বকাপে তানজিদের তৃতীয় ডাক
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তৃতীয় শূন্যর দেখা পেলেন তানজিদ হাসান। ফজল হক ফারুকির সুইং ডেলিভারীতে এলবিডব্লিউ হন তানজিদ। রিভিউ নিয়ে বাঁচতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত টিকে যায়। তরুণ বাঁহাতি ওপেনার এর আগে নেপাল এবং অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও রানের খাতা খুলতে পারেননি। বাংলাদেশ দ্বিতীয় ওভারে হারাল প্রথম উইকেট। ২২ গজে নতুন ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত।
বাংলাদেশের ভালো শুরু
লক্ষ্য তাড়ায় ভালো শুরু করেছে বাংলাদেশ। প্রথম ওভারে ১৩ রান পেয়েছে। লিটন দাস একটি করে চার ও ছক্কা উড়িয়েছেন পেসার নাভিন উল হককে।
বৃষ্টির পর খেলা শুরু
বৃষ্টির কারণে বাংলাদেশের ইনিংস যথাসময়ে শুরু হয়নি। মুষলধারের বৃষ্টির পর মাঠ শুকাতে কিছুটা সময় নেন গ্রাউন্ডস্টাফরা। সেন্ট ভিনসেন্টের স্থানীয় সময় ১০টা ৪৫ মিনিটে খেলা শুরু হয়। সময় নষ্ট হলেও কোনো ওভার কাটা হয়নি। ২০ ওভারে বাংলাদেশের লক্ষ্য ১১৬। তবে সেমি ফাইনালে যেতে হলে ১২.১ ওভারে এই লক্ষ্যে পৌঁছতে হবে বাংলাদেশকে।
সেমি ফাইনালে যেতে ১২.১ ওভারে ১১৬ রান করতে হবে বাংলাদেশকে
বাংলাদেশকে ১১৬ রানের লক্ষ্য দিয়েছে আফগানিস্তান। আগে ব্যাটিং করতে নেমে ৫ উইকেটে ১১৫ রান করেছে আফগানিস্তান। রান রেটে এগিয়ে সেমি ফাইনাল যেতে হলে বাংলাদেশ ১২.১ ওভারে এই লক্ষ্য ছুঁতে হবে। আর আফগানিস্তান জিতে গেলে তারা চলে যাবে সেমি ফাইনালে।
শেষ ওভারে পেসার তানজিম হাসান রশিদ খানের ব্যাটে ২ ছক্কা হজম করে। ওই ওভারে ইনিংসের সর্বোচ্চ ১৫ রান পায় আফগানিস্তান। তাতে তাদের পুঁজি কিছুটা বেড়েছে। এই ১ ওভার বাদে বাংলাদেশের বোলিং ছিল দুর্দান্ত। আফগানিস্তানকে পুরো ইনিংসেই চাপে রেখেছিল বোলাররা।
শেষ ওভারের আগেই সেন্ট ভিনসেন্টে বৃষ্টি শুরু হয়। আফগানিস্তানের ইনিংসের পর বৃষ্টি আরো বেড়ে যায়। মাঠ এখন কাভার দিয়ে ঢাকা। বৃষ্টিতে খেলা যদি না হয় পয়েন্ট ভাগাভাগি হবে। তাতে আফগানিস্তান চলে যাবে সেমি ফাইনালে। অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশ বিদায় নেবে সুপার এইট থেকে।
৬৬ বল ডট!
আফগানিস্তানের ব্যাটসম্যানদের কতটা চাপে বাংলাদেশ রেখেছিল তা বোঝা যায় এক পরিসংখ্যানেই। ১২০ বলের ইনিংসে ৬৬ বলই ছিল ডট। টি-টোয়েন্টিকে বলা হয় চার-ছক্কার ক্রিকেট। অথচ মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আফগানিস্তানের ইনিংসে বাউন্ডারি খরা। রশিদ খান শেষ দিকে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩ ছক্কা হাঁকান। এর আগে রহমানউল্লাহ গুরবাজের ব্যাট থেকে আসে ১ ছক্কা। এছাড়া মাত্র ৬ চার এসেছে তাদের ইনিংসে।
পুরো ইনিংসেই বাংলাদেশ নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে মুগ্ধ করেছে। আলগা বোলিং চোখেই পড়েনি। রিশাদ হোসেন ৩ উইকেট নিয়ে দলের সেরা বোলার। তাসকিন ফেরার ম্যাচ রাঙিয়েছেন মাত্র ১২ রানে ১ উইকেট নিয়ে। মোস্তাফিজ ১৭ রানে পেয়েছেন ১ উইকেট। উইকেটশূন্য ছিলেন তানজিম ও সাকিব। তানজিম ৩৬ ও সাকিব ১৯ রান ব্যয় করেছেন।
তাসকিন ৪-১-১২-১
শেষ ওভারের আগে তাসকিন আহমেদের বোলিং স্পেল ছিল এরকম, ৩-১-৬-০। শেষ ওভারে তাসকিন উইকেট পেলেন ঠিকই। সঙ্গে স্পেলের শেষ বলে হজম করলেন ছক্কা। তারপরও ৪ ওভারে ১২ রানের বেশি দেননি দলে ফেরা তাসকিন। একাদশে ফিরে এমন দুর্দান্ত বোলিংয়ে তাসকিন আক্ষেপ বাড়ালেন। শেষ ম্যাচে তাকে একাদশের বাইরে কেন রাখা হয়েছিল সেই প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে।
রিশাদের জোড়া আঘাতে এলোমেলো আফগানিস্তান
নিজের শেষ ওভারের জন্য বোলিং প্রান্ত পরিবর্তন করেন রিশাদ হোসেন। উইকেটের আশায় ছিলেন বোঝা যাচ্ছিল। সফলও হলেন।
জোড়া উইকেট পেলেন বাংলাদেশের লেগ স্পিনার। প্রথমে রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও পরে গুলবাদিন নাইবকে ফেরান রিশাদ। দুজনই ডিপ কাভারে সৌম্যর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাজঘরে। দারুণ দুটি ক্যাচ নিয়ে বাংলাদেশকে সাফল্যে ভাসান দলে ফেরা সৌম্য। রিশাদ নিজের কোটার ওভার শেষ করলেন। ৪ ওভারে ২৬ রানে তার শিকার ৩ উইকেট।
ফিরে এসে মোস্তাফিজের উইকেট
প্রথম দুই স্পেলে ২ ওভারে ৮ রান দিয়ে মোস্তাফিজ ছিলেন উইকেটশূন্য। তৃতীয় স্পেলে এসে ধারাবাহিক বোলিং অব্যাহত রাখলেন বাঁহাতি পেসার। সঙ্গে পেয়েছেন উইকেট। তার বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন আজমতউল্লাহ। বাংলাদেশের আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। রিভিউ নিয়ে তাকে ফেরান মোস্তাফিজ। আফগানিস্তান হারাল দ্বিতীয় উইকেট।
৩৯ বল পর প্রথম বাউন্ডারি!
বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে রান তোলার সঙ্গে বাউন্ডারি পাওয়া ভুলে গিয়েছিল আফগানিস্তানের ব্যাটসম্যানরা। ১৩তম ওভারের তৃতীয় বলে রহমানউল্লাহ গুরবাজ বাউন্ডারি হাঁকালে ভাঙে অচলায়তন! ৩৯ বল পর আফগানিস্তান পায় প্রথম বাউন্ডারির স্বাদ।
১২ বলে রান নেই আফগানিস্তানের
রিশাদ হোসেন ১১তম ওভারের প্রথম বলে দিলেন ১ রান। পরের ১২ বলে আফগানিস্তানের স্কোরবোর্ডে যোগ হয়নি কোনো রান। রিশাদ উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর ১১তম ওভারে কোনো রান দেননি। ১২তম ওভারে তাসকিন এসে করেন মেডেন ওভার। রহমানউল্লাহ তার বোলিংয়ে কোনো রান নিতে পারেননি। ১৩তম ওভারের প্রথম বলে সাকিব দেন ডট। দ্বিতীয় বলে আজমতউল্লাহ সিঙ্গেল রান নিলে রান খরা দূর হয় আফগানিস্তানের। এমনিতেই আফগানিস্তান চাপে ছিল। ১২ বলে কোনো রান নিতে না পারায় তাদের ওপর আরো চাপ বাড়ল।
আফগানিস্তান শিবিরে রিশাদের আঘাত
শুরুর ১০ ওভারে প্রত্যাশিত মতো রান তুলতে পারেনি আফগানিস্তান। উইকেট জমিয়ে পরে আক্রমণ করবে তা বোঝাই যাচ্ছিল। উইকেট নিতে পারলেই কেবল তাদের আটকানো সম্ভব। ব্রেক থ্রু কে দেবে? রিশাদ হোসেন দায়িত্বটা নিলেন ১১তম ওভারে।
ইব্রাহিম জাদরানকে ফেরালেন বাংলাদেশের লেগ স্পিনার। তার হাওয়ায় ভাসানো বল টার্নের বিপরীতে খেলতে গিয়ে লং অফে ক্যাচ দেন ইব্রাহিম। সেখানে তানজিম রানিং ক্যাচ নিয়ে বাংলাদেশকে প্রথম উইকেটের স্বাদ দেন। ২৯ বলে ১৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন ইব্রাহিম।
গুরবাজ-ইব্রাহিমের জুটিতে এগোচ্ছে আফগানিস্তান
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে উদ্বোধনী জুটিতে আরেকটি ফিফটি ছোঁয়া ইনিংস পেল আফগানিস্তান। যে জুটির রূপকার ইব্রাহিম জাদরান ও রহমানউল্লাহ গুরবাজ। দুই ডানহাতি ব্যাটসম্যানের এটি বিশ্বকাপে চতুর্থ ফিফটি ছোঁয়া উদ্বোধনী জুটি। ৫০ বলে তাদের রান ফিফটি স্পর্শ করে।
১০ ওভার শেষে আফগানিস্তানের রান বিনা উইকেটে ৫৮। প্রত্যাশিত গতিতে রান তুলতে পারেনি তারা। তবে আশার বিষয়, কোনো উইকেট তারা হারায়নি। বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত বোলিং বেশ ভালো করেছে। উইকেট না পেলেও চাপে রেখেছে আফগানিস্তানকে।
পাওয়ার প্লে’তে দুর্দান্ত বাংলাদেশ, চাপে আফগানিস্তান
পাওয়ার প্লে’তে মাত্র ২ বাউন্ডারি পেয়েছেন আফগানিস্তানের ব্যাটসম্যানরা। ১টি এসেছে বাই থেকে। বৃত্তের সুবিধা তারা কাজেই লাগাতে পারেনি।
আফগানিস্তানের ব্যাটসম্যানদের কোনো সুযোগ দেননি বাংলাদেশের চার বোলার। শুরুর ৪ ওভার করেছেন তাসকিন ও তানজিম। পরে ১ ওভার করে হাত ঘুরিয়েছেন সাকিব ও মোস্তাফিজ। প্রত্যেকেই ছিলেন নিয়ন্ত্রিত। ছন্দময়। দারুণ লাইন ও লেন্থ ধরে ধারাবাহিক বোলিং করেছেন পাওয়ার প্লে’তে।
৬ ওভার শেষে আফগানিস্তানের রান বিনা উইকেটে ২৭।
ইব্রাহিমকে জীবন দিলেন তাওহীদ
পঞ্চম ওভারে বোলিংয়ে এসে উদ্বোধনী জুটি ভাঙার সুযোগ তৈরি করেছিলেন সাকিব আল হাসান। বাঁহাতি স্পিনারের প্রথম দুই বলে কোনো রান নিতে পারেননি ইব্রাহিম। তৃতীয় বল উইকেট থেকে সরে ইনসাইড আউট শট খেলার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু টাইমিং মেলাতে পারেননি। বল কাভারে তাওহীদের কাছে দ্রুত চলে যায়। ওখানে রেগুলেশন ক্যাচ থাকলেও তাওহীদ হাতে বল জমাতে পারেননি। ৯ রানে ইব্রাহিমকে জীবন দেন তাওহীদ।
আফগানিস্তানকে চাপে রেখে দারুণ শুরু বাংলাদেশের
তানজিম প্রথম ওভারে দিয়েছেন ৩ রান। তাসকিন পরের ওভারে মাত্র ২। শুরুর ২ ওভারে দুই পেসার দারুণ বোলিংয়ে চাপে রেখেছেন আফগানিস্তানের দুই ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরানকে। পরের দুই ওভারেও আফগানিস্তানের ওপেনারদের উড়তে দেননি এই বোলিং জুটি। এ সময়ে ব্যাট থেকে এসেছে মাত্র ১ বাউন্ডারি। বাই থেকে আরেকটি। দারুণ বোলিং করলেও বাংলাদেশ উদ্বোধনী জুটি ভাঙতে পারেনি তারা।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে আফগানিস্তান, একাদশে তাসকিন-সৌম্য
আফগানিস্তানের বিপক্ষে অতি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আগে বোলিং করছে বাংলাদেশ। কিংসটাউনে বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ছয়টায় ম্যাচটি শুরু হয়েছে।
আফগানিস্তানের অধিনায়ক রশিদ খান টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যদিও বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত টসের সময় জানিয়েছেন, বাংলাদেশ টস জিতলে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিত।
একাদশ
বাংলাদেশের একাদশে দুটি পরিবর্তন এসেছে। তাসকিন আহমেদ এবং সৌম্য সরকার দলে ফিরেছেন। দলের বাইরে গেছেন জাকের আলী অনিক ও মাহেদী হাসান। আফগানিস্তান অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে যে একাদশ নিয়ে মাঠে নেমেছিল সেই একাদশ অপরিবর্তিত রেখেছে
বাংলাদেশ দল
লিটন দাস, তানজিদ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহীদ হৃদয়, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সৌম্য সরকার, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, তানজিম হাসান সাকিব ও মোস্তাফিজুর রহমান।
আফগানিস্তান দল
রহমানউল্লাহ গুরবাজ, ইব্রাহিম জাদরান, গুলবাদিন নাইব, আজমতউল্লাহ উমারজাই, মোহাম্মদ নবী, করিম জানাত, রশিদ খান, রশিদ খান, নাঙ্গেলিয়া খারোতে, নুর আহমেদ, নাভিন উল হক ও ফজল হক ফারুকি।
সুপার এইটের লড়াইয়ে তিন দল
সুপার এইটের শেষ ম্যাচে এই দুই দল মুখোমুখি হচ্ছে। গ্রুপ ২ এর দুই সেমি ফাইনালিস্ট বেশ সহজে নির্বাচন হলেও গ্রুপ ১ এর সেমি ফাইনালিস্ট এখনো নিশ্চিত হয়নি। ভারত অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে চলে গেছে সেমি ফাইনালে। তাদের সঙ্গী কে হবে নিশ্চিত হওয়া যাবে এই ম্যাচ দিয়ে।
অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান তিন দলেরই সুযোগ আছে সেমি ফাইনালে যাওয়ার। বাংলাদেশ যদি আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৬২ রান কিংবা তার বেশি ব্যবধানে জয় পায় তাহলে সেমি ফাইনালে চলে যাবে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। তাড়া করলে ১৩ ওভারের মধ্যে জয় পেলেও একই সমীকরণ। আফগানিস্তানের জন্য সমীকরণটা বেশ সহজ। তারা বাংলাদেশকে হারালেই চলে যাবে সেরা চারে। বাংলাদেশ যদি জিতে এবং রান রেটে এগিয়ে থাকতে না পারে তাহলে অস্ট্রেলিয়া চলে যাবে সেমি ফাইনালে।
হেড টু হেড
দুই দল টি-টোয়েন্টিতে ১১ বার মুখোমুখি হয়েছে। যেখানে বাংলাদেশের ৫ জয়ের বিপরীতে আফগানিস্তান জিতেছে ৬টিতে। সবশেষ দেখায় ২০২৩ সালে বাংলাদেশ ঘরের মাঠে জিতেছিল। তবে নিরপক্ষে ভেন্যুতে সবশেষ দেখায় আফগানিস্তান জিতেছিল। শারজাহতে এশিয়া কাপের ম্যাচে আফগানিস্তান ৭ উইকেটে জয় পেয়েছিল। এবার কার মুখে হাসি ফোঁটে সেটাই দেখার।
শেষটা ভালোর আশায় বাংলাদেশ
বিশ্বকাপে ৩ ম্যাচ জিতলেও পারফরম্যান্সে বিশাল ঘাটতি। ব্যাটসম্যানদের ব্যাটে রান নেই। টপ কিংবা মিডল অর্ডার, জোড়াতালি দিয়ে চলছে দল। বোলিং আঁটসাঁট। তাইতো শেষটা ভালো করতে মুখিয়ে বাংলাদেশ।
ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ হারের পর সংবাদ সম্মেলনে এসে সাকিব বলেছিলেন, ‘আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলতে হবে আমাদের, যারা খুব ভালো দল। ওদের বিপক্ষে জিততে হলে নিজেদের সেরাটাই খেলতে হবে আমাদের। এই দুই ম্যাচ আশা করি আমাদেরকে অনেক কিছু শেখাবে এবং সেই শিক্ষাগুলো আমরা বয়ে নিতে পারব পরের ম্যাচে, যেন ক্যারিবিয়ান ছাড়ার আগে একটি জয় আমরা পেতে পারি।’