নোয়াখালীর সেনবাগে ঋণের চাপে চিরকুট লিখে গলায় ফাঁস দিয়ে কামাল উদ্দিন মজুমদার (৬৫) নামে এক আওয়ামী লীগ নেতা আত্মহত্যা করেছেন। মঙ্গলবার (২৫ জুন) দুপুরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যায়।
গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে উপজেলার কেশারপাড় ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের লুধুয়া দীঘির পাড় এলাকার মজুমদার বাড়িতে আত্মহত্যা করেন কামাল উদ্দিন।
মারা যাওয়া কামাল উদ্দিন লুধুয়া দীঘির পাড় এলাকার মজুমদার বাড়ির মৃত ছলিম উদ্দিন মজুমদারের ছেলে। তিনি ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন।
সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দিন জানান, কামাল উদ্দিন পেশায় কৃষক ছিলেন। তিনি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে তিনি পরিবারের সদস্যদের অগোচরে ঘরের সামনের কাঁঠাল গাছের সঙ্গে গলায় রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। মরদেহ উদ্ধারের সময় তার স্বজনদের কাছে ৬ পৃষ্টার একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। তাতে তার মৃত্যুর কারণ হিসেবে ঋণের চাপ ও অভাবকে দায়ী করা হয়েছে। চিরকুটের হাতের লেখা কামাল উদ্দিনের কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। আজকে তার এক লাখের ওপরে ঋণের টাকা পরিশোধ করার কথা ছিল।
তিনি আরও জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা নেওয়া হবে।
কেশারপাড় ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আলেক হোসেন জানান, কামাল উদ্দিন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি ছিলেন। চিরকুটে তিনি ঋণের বিষয়টি উল্লেখ করে গেছেন।
কেশারপাড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. বেলাল ভূঁইয়া বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি। তিনি যা আয় করতেন তা দিয়েই সংসার চলত। ঋণের চাপে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।