মিয়ানমারের আরাকান জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী দেশটির সবচেয়ে জনপ্রিয় সৈকত রিসোর্ট শহরটি দখল করে নিয়েছে, নিকটবর্তী একটি বিমানবন্দরে জান্তা সেনা সদস্যরা লুকিয়ে রয়েছে। সামরিক ও স্থানীয় সূত্র মঙ্গলবার (২৫ জুন) এএফপিকে এ কথা জানায়।
নভেম্বরে আরাকান আর্মি বার্মিজ সেনাবাহিনীর ওপর হামলা চালানোর পর থেকে পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে সংঘর্ষ চলছে। নভেম্বরের আক্রমণের ফলে ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে মূলত যুদ্ধবিরতির অবসান ঘটে।
কয়েক দিন ধরে রাজ্যের দক্ষিণে নাগাপালি সৈকতের চারপাশে লড়াই চলছে, যেখানে ভারতীয় মহাসাগরের তীরে নারিকেল গাছ ঘেরা পরিষ্কার বালুর বিচে কয়েকটি অভিজাত রিসোর্ট ছড়িয়ে আছে।
সেদিন পালিয়ে যাওয়া এক বাসিন্দা এএফপিকে বলেন, সৈকত থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে থান্ডওয়ে শহর, যেখানে স্থানীয় বিমানবন্দর অবস্থিত, সোমবার পর্যন্ত অনেকটাই জনশূন্য ছিলো।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সামরিক সূত্র এএফপিকে জানায়, নিরাপত্তা বাহিনী বিমানবন্দরের দিকে পিছু হটে গেছে এবং এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
বাংলাদেশের টেকনাফ থেকে তোলা ছবিতে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে মানুষ চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে। ছবি: রয়টার্স
স্থানীয় এক হোটেল মালিক এএফপিকে বলেন, তার কর্মীরা জানিয়েছেন যে সোমবার বিমানবন্দরের কাছে সামরিক বাহিনী বিমান হামলা চালিয়েছে। তার কর্মীরা তাকে বলেন, বিমানবন্দর ভবনের ভেতরে কিছু সেনা ও পুলিশ সদস্য আটকা পড়ে আছে।
এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য এএফপি জান্তা মুখপাত্রের সাথে যোগাযোগ করতে পারেনি। তারা আরাকান আর্মির মুখপাত্রের সাথে যোগাযোগ করেছে।
আরাকান আর্মি যোদ্ধারা ওই এলাকায় হামলা শুরু করায় চলতি মাসের শুরু থেকে থান্ডওয়ে বিমানবন্দর বন্ধ রয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, নাগাপালির অনেক হোটেল ও রিসোর্টের মালিক জান্তার সাথে ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী অথবা সামরিক বাহিনীর বিস্তৃত ব্যবসায়িক সাম্রাজ্যের অংশ যার মধ্যে রত্ন, পর্যটন, তামাক এবং রিয়েল এস্টেট রয়েছে।
সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা