বরিশাল বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (২৬ জুন) সকালে অভিযান চালানো হয়। দুদকের বরিশাল কার্যালয় থেকে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মিরাজ হোসেন। এর আগে, গত ১৬ জানুয়ারি এই পাসপোর্ট অফিসে অভিযান চালায় দুদক।
এ বিষয়ে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম বলেন, বরিশাল বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে পাসপোর্ট সেবা প্রদানে গ্রাহক হয়রানি ও ঘুষ দাবির অভিযোগ ওঠে। এরই প্রেক্ষিতে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ছদ্মবেশে পাসপোর্ট অফিসে আসা সেবাগ্রহীতাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এতে অনেক তথ্য পাওয়া যায়। অনলাইনে পাসপোর্টের আবেদনের জন্য প্রতি আবেদনে ২০০ টাকা বা তার বেশি নেন ফটোকপি দোকান ও ব্যবসায়ীরা। ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার জন্য অতিরিক্ত টাকা গ্রহণ করার অভিযোগও মিলেছে।
তিনি আরও বলেন, অভিযানে বরিশাল বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের উচ্চমান সহকারী মোশাররফের বিরুদ্ধে সেবাগ্রহীতাদের বিভিন্নভাবে হয়রানির বিষয়ে তথ্য পাওয়া গেছে। যা বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালককে অবগত করা হয়। তিনি অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াসহ সেবা প্রদান হয়রানিমুক্ত করতে উদ্যোগ নেবেন বলে দুদককে আশ্বস্ত করেছেন। এছাড়া, অভিযানে সংগৃহীত তথ্য পর্যালোচনা করে দুদক টিম কমিশন বরাবর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করবে।
বরিশাল পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক জাকির হোসেন বলেন, দুদকের নির্দেশনা অনুসরণ করে অভিযুক্ত কর্মচারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এরইমধ্যে তাকে ডেস্ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।