বিরাট কোহলি অপেক্ষায় রাখেননি। পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে জানিয়ে দিলেন, ভারতের হয়ে শেষ টি-টোয়েন্টি খেলে ফেলেছেন। পরবর্তী প্রজন্মের দায়িত্ব এই ফরম্যাটের ক্রিকেটকে এগিয়ে নেওয়ার।
কোহলির এমন ঘোষণায় অবাক হননি কেউ। অনেকটা ওপেন সিক্রেট ছিল তার সিদ্ধান্ত। কোহলির মতো একই পথে হাঁটলেন রোহিত শর্মা। শিরোপাজয়ী অধিনায়ক সংবাদ সম্মেলনে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট ছাড়ার ঘোষণা দেন। সিংহাসনে বসেই রোহিত জানিয়ে দেন, ভারতের জার্সিতে টি-টোয়েন্টিতে তাকে আর দেখা যাবে না।
বার্বাডোজে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৭ রানে হারিয়ে ভারত দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি শিরোপা জিতেছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসর থেকে রোহিত খেলছেন। ২০০৭ সালে উদ্বোধনী আসরে মাহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে শিরোপা পেয়েছিল ভারত। রোহিতও ছিলেন সেই দলে। এবার অধিনায়ক হিসেবে রোহিত জিতলেন শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট।
রাজ্য জয়ের পর রাজা এই ফরম্যাট থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন। সংবাদ সম্মেলনে রোহিত বলেছেন, ‘এটা আমার শেষ টি-টোয়েন্টি ছিল। এই ফরম্যাটকে বিদায় জানানোর জন্য এর চেয়ে ভালো সময় আর হতে পারে না। আমি এর প্রতিটি মুহূর্ত পছন্দ করেছি। আমি এই ফরম্যাটে খেলে আমার ভারতের ক্যারিয়ার শুরু করেছি। আমি এটাই চেয়েছিলাম, কাপ জিততে চেয়েছিলাম।’
‘আমি খুব করে এই শিরোপা চেয়েছিলাম। ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। এটা আমার জন্য অনেক বড় অনুভূতির জায়গা। আমি এই অর্জনের জন্য মরিয়া হয়ে ছিলাম। খুবই আনন্দিত যে ওই সীমান্তটা অতিক্রম করতে পেরেছি।’ - যোগ করেন রোহিত।
এই ফরম্যাটে সর্বোচ্চ রান করে অবসরে গেলেন রোহিত। ১৫৯ ম্যাচে তার রান ৪২৩১। সঙ্গে সর্বোচ্চ পাঁচ সেঞ্চুরির অনন্য রেকর্ডও তার নামের পাশে যুক্ত আছে।
রোহিত ও কোহলি এবার টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ছাড়বেন তা প্রত্যাশিতই ছিল। দুজনই ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের পর অনিয়মিত হয়ে পড়েন। গত জানুয়ারিতে তাদেরকে ফেরানো হয় ২০২৪ টি-টোয়েন্টি জন্যই। যে পরিকল্পনায় তাদেরকে আনা হয়েছিল সেই পরিকল্পনায় ভারত সফল হলো। তাই এই ফরম্যাটকে বিদায় বলতে দুজন সময় নিলেন না। কোথায় থামতে হয় সেই উত্তর তাদের জানা ছিল আগেই।