ম্যাচের তখন ১৫ মিনিট বাকি। সুবর্ণ সুযোগ পর্তুগালের সামনে। পোয়াবারো ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর জন্য। দিয়েগো জোতাকে ডি বক্সে ফেলে দিয়ে নিজেদের সর্বনাশ নিজেরাই ডাকে স্লোভেনিয়া। পেনাল্টি থেকে এই গোল পর্তুগীজদের নিয়ে যেতে পারে কোয়ার্টার ফাইনালের মঞ্চে। কিন্তু হতাশ করলেন রোনালদো।
স্লোভেনিয়ার ফুটবলাররা যখন রেফারির সঙ্গে আলাপে ব্যস্ত তখন রোনালদো নিচ্ছিলেন স্পট কিকের প্রস্তুতি। সময় আসে, বাঁশি বাজে। বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে রোনালদোর বার ঘেঁষা শট রুখে দেন গোলরক্ষক ও-বালাক!
অবিশ্বাস্য। তাইতো রোনালদো দু হাত দিয়ে মুখ ঢেকে নেন। মাঝ বিরতিতে দেখা যায় করুণ এক দৃশ্য। যেটার জন্য হয়তো প্রস্তুত ছিলেন না ভক্তরা এমনকি সতীর্থরাও। মিটিংয়ের মাঝে অঝোরে কাঁদছেন রোনালদো। পেঁপে থেকে শুরু করে সতীর্থ, দলীয় স্টাফরা দিচ্ছিলেন সান্ত্বনার বাণী।
তখনো ১৫ মিনিট বাকি। এ সময় অনেক কিছু হতে পারে। কিন্তু যদি হারে, রোনালদোর মুন্ডুপাত ঠেকাবে কে। যথারীতি খেলা শুরু হয়, ম্যাচ যায় টাইব্রেকারে।
স্লোভেনিয়ার ইলিচিচের নেওয়ার প্রথম শট রুখে দেন দিয়েগো কস্তা। পর্তুগালের প্রথম শট নিতে আসেন খোদ রোনালদো। ভেঙেছেন তবে মচকাননি। এবার মারলেন বাঁ দিকের বার ঘেঁষা শট। ঠিক দিকেই ঝাঁপ দিয়েছিলেন বালাক, কিন্তু এবার ভাগ্যদেবী ছিলেন রোনালদোর সঙ্গে। গোল। সঙ্গে সঙ্গে দর্শকদের কাছে দুই হাত জোড় করে ক্ষমা চান।
এরপর যা হয় ইতিহাস। প্রথমটির মতো আরও দুটি শট রুখে দেন কস্তা। ইউরোর ইতিহাসে এমন ঘটনা প্রথম। রোনালদোর গোলের পর টানা দুই করেন ব্রুনো-বার্নার্ডো। ৩-০ গোলে জয় নিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে পর্তুগাল।
২০১৬ সালের চ্যাম্পিয়নদের সামনে অনেক পথ বাকি। সামনে কঠিন প্রতিপক্ষ ফ্রান্স। ৬ জুলাই রাত ১টায় হবে সেমিফাইনালের যাওয়ার অগ্নি পরীক্ষা। তার আগেই জেগে উঠতে হবে পর্তুগালের রোনালদোকে। ৪ ম্যাচে ১টি গোলও পাননি, টাইব্রেকার ছাড়া। এমন রোনালদোকে চান না ভক্তরা!