ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে নবজাতককে রেখে পালিয়ে গেছেন এক তরুণী। নবজাতকটিকে ভর্তির ২ ঘণ্টা পর সেই তরুণী বাচ্চাটিকে হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায়।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) রাত পর্যন্ত নবজাতকের পরিবারের সন্ধান পাওয়া যায়নি। এরআগে সোমবার সকাল ৮টায় ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে শিশুকে রেখে পালিয়ে যায় তার মা। ভর্তির কাগজে পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী উল্লেখ করা হয়েছে। অভিভাবকের জায়গায় জয় লেখা রয়েছে এবং বাচ্চার নাম লেখা রয়েছে বেবি।
এ সম্পর্কে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. রকিবুল ইসলাম চয়ন বলেন, সোমবার সকাল ৮টার দিকে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের একটি সদ্য ভূমিষ্ঠ মেয়ে বাচ্চাকে কে বা কারা রেখে পালিয়ে গেছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তার খোঁজ নিতেও কেউ আসেননি। বাচ্চাটি বর্তমানে শিশু ওয়ার্ডের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে আছে। বাচ্চাটি সুস্থ আছে।
শিশু ওয়ার্ডের দায়িত্বরত এক নার্স বলেন, গতকাল সকাল ৮টায় এক তরুণী শিশুটিকে নিয়ে হাসপাতালে আসেন এবং ভর্তি করান। সকাল ১০টার দিকেই শিশুটির মাকে আর বাচ্চাটির পাশে দেখা যায়নি। পরবর্তীতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দুপুর ১২টা পর্যন্ত খোঁজখবর নিলেও সেই বাচ্চার কোন অভিভাবক পাওয়া যায়নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তৎক্ষণাৎ পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে ঠাকুরগাঁও সরকারি শিশু পরিবারকে খবরটি জানায়।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন, বাচ্চাটি কে বা কারা ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে রেখে চলে যায়। পরবর্তীতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে খবর দেয়। আমরা ঠাকুরগাঁও সরকারি শিশু পরিবারকে ইতোমধ্যে জানিয়েছি। এই মুহূর্তে বাচ্চার একজন অভিভাবক দরকার। তাই আমরা বাচ্চাটিকে কারো কাছে দিতে চাই। এরই মধ্যে কয়েকজন কাগজসহ আবেদন করেছেন। ঠাকুরগাঁও সরকারি শিশু পরিবারসহ পরবর্তীতে আমরা কাগজ যাচাই-বাছাই করে যাকে দেওয়ার মতো যোগ্য মনে হয় তাকে আমরা বাচ্চাটি দেব।
বাচ্চার পরিবার খোঁজার বিষয়ে তিনি বলেন, বাচ্চাটির যেহেতু এখন একজন অভিভাবক দরকার সেই কাজটি আমরা এখন করছি। পরবর্তীতে আমরা এটি খোঁজখবর নিয়ে দেখব।