দেহঘড়ি

জ্বর হলে করণীয়

জ্বর কোনো রোগ নয়। এটি হচ্ছে রোগের লক্ষণ। ইনফেকশন, ভাইরাস ও বাতজনিত কারণে জ্বর হতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভাইরাসজনিত কারণে জ্বর হয়। এক্ষেত্রে জ্বর তিন-চার দিনের বেশি থাকে না। কখনো কখনো সাতদিন স্থায়ী হয়। সাধারণত একজন প্রাপ্ত বয়ষ্ক মানুষের শরীরের তাপমাত্রা ৯৭ থেকে ৯৯ ডিগ্রির মধ্যে থাকে। ৯৯ দশমিক ৯ ডিগ্রির বেশি তাপমাত্রাকে জ্বর হিসেবে ধরা হয়। জ্বর হলে প্রাথমিকভাবে কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিত।

শহীদ সোহরাওয়ার্দি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. এইচ এম নাজমুল আহসানের পরামর্শ—

প্রথমেই আমাদের জানতে হবে জ্বরের মাত্রা কত? জিহ্বার নিচে এক মিনিটের জন্য থার্মোমিটার রেখে জ্বর মেপে নিতে হবে। জ্বর ১০১ ডিগ্রি হয় তাহলে ১টি প্যারাসিটামল ওষুধ সেবন করতে পারেন। আর জ্বর যদি ১০২ ডিগ্রির ওপরে হয় তাহলে একসঙ্গে ২টি প্যারাসিটামল ওষুধ সেবন করতে পারেন। ছয় ঘণ্টা পর পর ওষুধ সেবন করতে হবে, এর আগে সেবন করা যাবে না। 

অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় প্যারাসিটামল সেবন করার পরেও জ্বর কমে না। সেক্ষেত্রে কুসুম গরম পানিতে একটি নরম সুতি কাপড় ভিজিয়ে নিয়ে সারা শরীর মুছে নিতে হবে। এরপর কিছুক্ষণ বাতাসে বসে থাকতে হবে। তাহলে জ্বর কমে যাবে। অনেকে সারা শরীর না মুছে শুধু মাথায় পানি নেন। এতে সর্দি লেগে যেতে পারে। আরেকটা নতুন উপসর্গ যোগ হতে পারে। 

জ্বর থাকাকালে প্রচুর ঘাম হয়। এই সময়ে রোগীর আড়াই থেকে চার লিটার পানি পান করার প্রয়োজন হতে পারে।

জ্বর সেরে গেলেও প্রচুর ঘাম হয়। ঘামের সঙ্গে প্রচুর লবণ বের হয়। অনেক বেশি ঘাম হলে পানিশূন্যতা তৈরি হতে পারে। তখন লবণজাতীয় পানি পান করতে হবে। অর্থাৎ ওরস্যালাইন খাওয়া যেতে পারে। পানিশূন্যতা দেখা দিলে শুধু পানি পান করলে তৃষ্ণা মেটে না এবং লবণের অভার পূরণ হয় না। 

সুতরাং তৃজ্ঞা বেড়ে যাওয়া পানিশূন্যতার লক্ষণ। উল্লেখ্য, জ্বর সাতদিনের স্থায়ী হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।