খেলাধুলা

৫ ম্যাচে কোনো ‘গোল’ না  দিয়েই যেভাবে সেমিফাইনালে ফ্রান্স 

গ্রুপপর্বের তিন ও নক আউট পর্বের দুই। মিনিটের হিসেবে ৫ ম্যাচে ৪৫০ মিনিট সঙ্গে কোয়ার্টার ফাইনালের অতিরিক্ত ৩০ মিনিট। মোট ৪৮০ মিনিট খেলেও সরাসরি ১টি গোলও দিতে পারেনি কিলিয়ান এমবাপ্পের ফ্রান্স।

তবুও শেষ চারের একটি দল হিসেবে নাম লিখিয়েছে ফরাসিরা। পেনাল্টি ও টাইব্রেকার ছাড়া সরাসরি একটি গোলও করতে পারেনি দলটি। শেষ ষোলো ও গ্রুপপর্বের একটি ম্যাচ জেতে আত্মঘাতী গোলে। একটি ম্যাচ ড্র ও আরেকটি ম্যাচ এমবাপ্পের পেনাল্টি থেকে। আর কোয়ার্টার ফাইনালে টাইব্রেকারে পর্তুগালের বিপক্ষে।

৫-৩ গোলে পর্তুগীজদের হারিয়ে দ্বিতীয় দল হিসেবে সেমির টিকিট কাটে ফ্রান্স। শেষ চারের প্রতিপক্ষ স্পেন। শক্তিশালী এই দলটির বিপক্ষে লড়াইয়ের আগে সরাসরি একটি গোলেরও কীর্তি নেই! 

গ্রুপপর্বের প্রথম ম্যাচে ম্যাক্সিমিলানের আত্মঘাতী গোলে অস্ট্রিয়াকে ১-০ গোলে হারায় ফ্রান্স। দ্বিতীয়টিতে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে শূন্য গোলে ড্র হলেও তৃতীয়টিতে পোল্যান্ডের বিপক্ষে গোলও সমান ১টি করে। পোলিশদের বিপক্ষে একমাত্র গোলটি আসে এমবাপ্পের পেনাল্টি থেকে। ৩ ম্যাচে ১ জয়ে গ্রুপ রানার্সআপ! 

শেষ ষোলোতে প্রতিপক্ষ বেলজিয়াম। এই ম্যাচেও ভাগ্য সহায় ছিল ফরাসিদের। ৮৫ মিনিটে ভারটোঙ্গের আত্মঘাতী গোলে কোয়ার্টারে পা রাখে ফ্রান্স। এখানেও পর্তুগালের বিপক্ষে অতিরিক্ত সময় শেষে গোল শূন্য ড্রয়ের পর টাব্রেকারে জয়। এমনও সম্ভব? তাও ইউরোর মতো কঠিন টুর্নামেন্টে!