ফেনী সদর উপজেলার লেমুয়া ইউনিয়নের ১০ গ্রামের মানুষের যোগাযোগের একমাত্র অবলম্বন কালিদাস পাহালিয়া নদীর উপরে অস্থায়ীভাবে তৈরি করা কাঠের সেতুটি ভেঙে গেছে। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) ভারী বৃষ্টিপাত ও উজানের পানির তোড়ে সেতুর একাংশ ভেঙে পড়েছে। এতে জেলাশহরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে ভোগান্তিতে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কালিদাস পাহালিয়া নদীর উপর দিয়ে যাতায়াতের একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম স্টিলের ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেলে গত বছর ডিসেম্বরে সেটি খুলে গার্ডার ব্রিজ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন পিএসসি গার্ডার ব্রিজের পাশে বিকল্প যাতায়াতের জন্য কাঠের সেতু নির্মাণ করা হয়।
স্থানীয় সাংবাদিক এম এ জাফর বলেন, লেমুয়া ইউনিয়নের ১০ গ্রামের মানুষের যাতায়াতের জন্য ১৯৯৬ সালে স্টিলের ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়লে নতুন গার্ডার ব্রিজ নির্মাণের টেন্ডার হয়। গত বছর ডিসেম্বরে ব্রিজটি খুলে ফেলা হয়। পরে স্থানীয়দের চলাচলের জন্য কাঠের সেতু নির্মাণ করা হয়। জানুয়ারি মাসে চলাচলের জন্য কাঠের সেতু খুলে দেওয়া হয়। নির্মাণের ৬ মাসের মাথায় সেতুটি পানি তোড়ে ভেঙে পড়েছে। যেহেতু এটি খরস্রোতা নদী, তাই আরও টেকসইভাবে সেতুটি করা হলে এত তাড়াতাড়ি ভেঙে পড়ত না।
স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল হক বলেন, সেতুটি ভেঙে পড়ায় উল্টোপথে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হবে। বিশেষ করে বয়োবৃদ্ধ, শিশু ও রোগীদের পারাপারে বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা যদি বিষয়টি গুরুত্ব দেন তাহলে সবার উপকার হবে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চৌধুরী এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মামুন চৌধুরী বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে মানুষের চলাচলের জন্য সেতুটি ব্যবহার উপযোগী করতে কাজ শুরু হবে।
ফেনী সদর উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী দীপ্তদাশ গুপ্ত বলেন, এটি কাঠের তৈরি, তাই বাসিন্দাদের হাঁটাচলা করতে বলা হয়েছিল। কোনো নিষেধাজ্ঞা না শুনে এ সেতুর ওপর ব্যাটারিচালিত রিকশা ও মোটরসাইকেল চালানো শুরু করে। ফলে সেতুটি দুর্বল হয়ে যায়। এছাড়া এটি খরস্রোতা নদী হওয়ায় বর্ষাকালে কচুরিপানা এসে নিচে জমা হয়ে যাওয়ায় পানির তোড়ে ভেঙে পড়েছে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সেতু মেরামতের কাজ শুরু করেছে বলে জানান তিনি।