নাটোরের গুরুদাসপুরে চুরির পর টাকা দিয়ে বৈদ্যুতিক মিটার ফেরত পেয়েছেন গ্রাহকরা। শনিবার(৬ জুলাই) ১৩ জন গ্রাহক ৫ হাজার করে মোট ৬৫ হাজার টাকা চক্রের মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টে দিয়ে মিটারগুলো ফেরত পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। চক্রের সদস্যরা মোবাইল ফোন নম্বর দিয়ে গেলেও পুলিশ এবং বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন তাদের (চোর) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেনি বলে অভিযোগ গ্রাহকদের।
স্থানীয়রা বলেন, গত শুক্রবার রাতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ৩৬টি বৈদুতিক মিটার চুরি করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। গভীর রাতে চুরি করে নিয়ে যাওয়া মিটারের স্থানে চোররা পলিথিনে মুড়িয়ে রেখে যায় চিরকুট। যাতে লেখা ছিল, ‘চুরি যাওয়া মিটার ফেরত পেতে ফোন করুন।’ ওই নম্বরে ফোন করলে টাকা চায় চোররা। গাড়িষাপাড়া মহল্লার ধান ব্যবসায়ী বাবলুর রহমান রেখে যাওয়া নম্বরে কল দিয়ে টাকা পাঠান। শনিবার চাতালের পাশের একটি স্থান থেকে মিটারটি পান তিনি।
আরও পড়ুন: বৈদ্যুতিক মিটার চুরি করে ফোন নম্বর রেখে গেলো চোর
টাকা দিয়ে মিটার ফেরত পাওয়া চাতাল ব্যবসায়ী রবিউল করিম জানান, আগেও মিটার চুরি হয়েছে। সেসময় ৪ হাজার টাকা দিয়ে ফেরত পেয়েছিলেন মিটার। এবার ৫ হাজার টাকা পাঠিয়ে নদীর তীরে মিটার খুঁজে পান তিনি।
তিনি আরও জানান, ৫ হাজার টাকা দিয়ে অন্য ১২ গ্রাহকও বৈদ্যুতিক মিটার ফেরত পেয়েছেন।
বিদ্যুৎ গ্রাহকদের অভিযোগ, প্রশাসনিকভাবে কোনো প্রতিকার না পাওয়ায় চোর চক্রের কাছে জিম্মি তারা। বাধ্য হয়ে তাদের টাকা দিয়ে মিটার ফেরত নিতে হচ্ছে তাদের।
নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ গুরুদাসপুর জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. মোমিনুর রহমান বিশ্বাস বলেন, চক্রের হোতা যেই হোক, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে গ্রাহকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ অফিসের পক্ষ থেকে থানায় সাধারণ ডায়েরি করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. উজ্জ্বল হোসেন বলেন, মিটার চুরির ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।