রাতে শিশুর ঘুম ঠিকঠাক হওয়া খুব-খুব জরুরি। চিকিৎসকেরা বলেন, রাতে ঠিকঠাক ঘুম হলে শিশুর ‘গ্রোথ হরমোন’ নিঃসরণ হয়। ঘুম ভালো না হলে শিশু ঠিকমতো বাড়ে না, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যেতে পারে। অনেক সময় আয়রন এবং রক্ত স্বল্পতার কারণেও শিশুর ঘুমে ব্যঘাত ঘটতে পারে। আবার ঘরের পরিবেশ শিশুর ঘুমের অনুকূলে না থাকার কারণেও এমনটা হয়। দেখা যায় যে— শিশুকে ঘুম পাড়িয়ে মা-বাবা কেউই কাছে শুয়ে থাকেন না বা মোবাইল চালান অথবা টিভি দেখেন এতে শিশুর ঘুমের সমস্যা হতে পারে।
পুষ্টিবিদ আয়শা সিদ্দিকা বলেন— ১ থেকে ২ মাসের শিশুদের ২৪ ঘণ্টায় মোট ১৪ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। এর কম ঘুমালে ব্রেনে কোনো সমস্যা দেখা দিতে পারে। রাতে ১০টার মধ্যে লাইট বন্ধ করে দিয়ে শিশুর মা যেন শুতে চলে যায়। শিশু না ঘুমাক মা যেন শিশুকে নিজের কাছে রাখেন। অবশ্যই শিশুকে আরামদায়ক অবস্থায় রাখতে হবে। শিশু যেন মায়ের শরীরের ওম পায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কোনো শারীরিক সমস্যা থাকলে শিশুর কম ঘুম হতে পারে। রাতে শিশু ঘুমাতে না চাইলে একজন ফিজিশিয়ানকে দেখাতে হবে।
অবশ্যই শিশুকে ঘুম পাড়িয়ে মাকে শিশুর পাশে থাকতে হবে। শিশুকে ঘুম পাড়িয়ে দিয়ে ওই ঘরে মোবাইল বা টিভি চালাবেন না। শিশুদের ঘুমের বিষয়ে ঘরের পরিবেশ অনেক বড় ব্যাপার।