প্রয়াত বলিউড অভিনেত্রী শ্রীদেবী ও প্রযোজক-অভিনেতা বনি কাপুর দম্পতির বড় কন্যা জাহ্নবী কাপুর। গুঞ্জন রয়েছে, ভারতের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল কুমার শিন্ডের নাতি শিখর পাহাড়িয়ার সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম করছেন। বছর জুড়েই এই যুগল আলোচনায় থাকেন। এবার জাহ্নবী কাপুরের লেহেঙ্গা ঠিক করে দিলেন শিখর। তারপর এ নিয়ে চলছে জোর চর্চা।
জাহ্নবী কাপুর তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে বেশ কটি স্থিরচিত্র পোস্ট করেছেন। তার একটিতে দেখা যায়— সোফায় বসে আছেন জাহ্নবী কাপুর। তার পরনে নীল রঙের লেহেঙ্গা। পুরো লেহেঙ্গাটি ‘ময়ূর থিম’ দিয়ে সাজানো হয়েছে। জাহ্নবীর সামনে হাঁটু ভাঁজ করে লেহেঙ্গা ঠিক করে দিচ্ছেন প্রেমিক শিখর পাহাড়িয়া।
প্রিয় অভিনেত্রীকে এমন লুকে দেখে মুগ্ধতা প্রকাশ করছেন নেটিজেনরা। পাশাপাশি প্রেমিকার প্রতি প্রেমিকের কেয়ারিং আলাদা নজর কেড়েছে। জাহ্নবীকে কেউ কেউ বলছেন, ‘নীল হীরা।’ কেউ কেউ বলছেন, ‘বলিউডের রানি।’
ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, গত ৫ জুলাই ছিল ধনকুবের মুকেশ আম্বানির পুত্র অনন্ত আম্বানি-রাধিকা মার্চেন্টের সংগীত সন্ধ্যা। তাতে প্রেমিককে নিয়ে হাজির হয়েছিলেন জাহ্নবী। এসব ছবি সেখানেই তোলা হয়েছে।
শিখর পাহাড়িয়ার সঙ্গে সম্পর্কের কথা কখনো স্বীকার করেননি জাহ্নবী কাপুর। তবে গত মে মাসে শিখরকে নিয়ে মন্তব্য করে ‘প্রেমের সম্পর্ক’-এ সিলমোহর দেন তিনি। তার পরবর্তী সিনেমার প্রচারে গিয়ে মির্চি প্লাসকে জাহ্নবী কাপুর বলেছিলেন, ‘আমার বয়স যখন ১৫-১৬ বছর, তখন থেকেই শিখর আমার জীবনে আছে। আমি মনে করি, আমার স্বপ্নই তার স্বপ্ন, তার স্বপ্নই আমার স্বপ্ন। আমরা খুবই ঘনিষ্ঠ। আমরা পরস্পরের সাপোর্ট সিস্টেম। বলা যায়, আমরা একে অপরকে বড় করেছি।’
এর আগে শিখর-জাহ্নবীর চুমুর একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। তারপর অনেকের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে এই নায়িকার। সময়ের সঙ্গে আড়ালে পড়ে যায় শিখরের নাম। দীর্ঘ বিরতির পর গত বছরের শেষের দিকে একসঙ্গে দেখা যায় জাহ্নবী-শিখরকে। তারপর এ জুটির পুরোনো প্রেম চর্চায় পরিণত হয়। কিছুদিন আগে নিজের জন্মদিনে কথিত প্রেমিককে নিয়ে মন্দিরে যান জাহ্নবী।
‘ধড়ক’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন জাহ্নবী। এরপর ‘রুহি’, ‘গুঞ্জন সাক্সেনা: দ্য কার্গিল গার্ল’, ‘ঘোস্ট স্টোরিজ’ সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি। তার অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস মাহি’। গত ৩১ মে মুক্তি পায় এটি। বর্তমানে জাহ্নবীর হাতে বেশ কটি সিনেমার কাজ রয়েছে। এ তালিকায় রয়েছে— ‘দেবারা’, ‘উলাজ’ প্রভৃতি।