সারা বাংলা

কুড়িগ্রামে বন্যায় ৩৪১ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ

কুড়িগ্রামে বন্যায় ৩৪১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। রোববার (৭ জুলাই) গণামধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শামসুল হক।

তিনি বলেন, ‘বন্যার পানি উঠার কারণে ১২১টি মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও মাদ্রাসায় পাঠদান সাময়িক বন্ধ করা হয়েছে। বন্যা কবলিত নয়, এমন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রয়েছে।’

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নবেজ উদ্দিন বলেন, ‘নয় উপজেলায় বন্যায় প্লাবিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ২৫৩টি। এর মধ্যে, পাঠদান বন্ধ রয়েছে ২২০টির।’

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা ও দুধকুমর নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে জেলার প্রায় দুই লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রাফসান জানি বলেন, ‘ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬৭ সেন্টিমিটার, হাতিয়া পয়েন্টে ৫৫ সেন্টিমিটার ও নুনখাওয়া পয়েন্টে ৫২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ধরলার পানি তালুক শিমুলবাড়ী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার ও কুড়িগ্রাম ধরলা ব্রিজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া, দুধকুমর নদের পানি পাটেশ্বরী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।’

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আব্দুল হাই সরকার বলেন, ‘জেলার বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ৩শ ১৭ মেট্রিক টন চাল, ২১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ও ১৯ হাজার ৩০ প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।’