মানিকগঞ্জ পৌরসভায় ১২ ঘণ্টায় কুকুরের কামড়ে পথচারী নারী-পুরুষ এবং শিশুসহ ৮৬ জন আহত হয়েছেন। রোববার (৭ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত পৌরসভার পশ্চিম সেওতা, বান্দুটিয়া ও বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
কুকুরের কামড়ে আহতরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। সোমবার (৮ জুলাই) সকালে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. বাহাউদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সেওতা এলাকার কবরস্থানের পরিচ্ছন্নকর্মী ঘটু মিয়া বলেন, ‘রোববার সকাল ১০টার দিকে কবরস্থান পরিস্কার করছিলাম। এমন সময় একটি কুকুর এসে আমার পায়ে কামড় দেয়। পরে আমি দুই হাত দিয়ে কুকুরের মুখ ধরে টেনে ছাড়াই। এরপর কুকুর আবার হাতে কামড় দিয়ে মাংস ছিড়ে নিয়ে যায়।
৬৫ বছরের সালেহা বেগম বলেন, সেওতা এলাকায় ভিক্ষা করার সময় একটি কুকুর এসে আমার পায়ে কামড় দিয়ে মাংস ছিড়ে নিয়ে যায়। পরে আশেপাশে লোকজন আমাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবুল কালাম আজাদ বলেন, ২ থেকে ৩টি কুকুর আমার ওয়ার্ডের নারী-পুরুষ-শিশু-বৃদ্ধসহ প্রায় ৪০ জনকে কামড় দিয়েছে। এছাড়া রাস্তা দিয়ে চলাচল করা অনেককে কামড় দিয়েছে। গ্রামের মানুষসহ পৌরসভা লোকজন কুকুরগুলোকে ধরার চেষ্টা করছে বলেও জানান তিনি।
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. বাহাউদ্দিন বলেন, কুকুরে কামড়ের রোগীদের ভ্যাকসিন ও প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত কাউকে ভর্তি করে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার প্রয়োজন হয়নি।