বাংলাদেশের মাতারবাড়ী রেলওয়ে প্রকল্পে বিনিয়োগ ও কারিগরি সহযোগিতা দিতে জাপানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রেলপথমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম।
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি সোমবার (৮ জুলাই) রাজধানীর রেল ভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে এ আহ্বান জানান মন্ত্রী।
মো. জিল্লুল হাকিম বলেন, মাতারবাড়ীকে কেন্দ্র করে যে উন্নয়ন কার্যক্রম হচ্ছে, তা সম্পন্ন হলে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পরিবর্তন ঘটবে। এজন্য সরকার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে জোর দিচ্ছে।
তিনি বলেন, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর রেল নেটওয়ার্কে যুক্ত হলে সেখান থেকে সরাসারি রেলপথে কন্টেইনার পরিবহন করা যাবে এবং বন্দর থেকে বিভিন্ন স্থানে পণ্য পরিবহন করা যাবে দ্রুত।
মন্ত্রী বলেন, জাপান বাংলাদেশের বিশ্বস্ত ও পরীক্ষিত বন্ধু। বাংলাদেশ তার উন্নয়নের জন্য জাপানের কাছ থেকে অনেক বেশি পরিমাণে সরকারি উন্নয়ন সহায়তা পেয়ে থাকে।
বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতুর কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান রেলমন্ত্রী। তিনি রেলওয়ের চলমান বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করেন।
তিনি বলেন, জাপান বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের অনেক প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। ভবিষ্যতেও রেলওয়ের প্রকল্পে জাপানের কাজ করার সুযোগ রয়েছে।
জাপানের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ রেলওয়ের সঙ্গে কাজ করার এবং ভবিষ্যতে আর্থিক সহযোগিতা দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে জাপানের সুসম্পর্ক বিদ্যমান। ভবিষ্যতে বিভিন্ন খাতে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে সেই সম্পর্কের আরও উন্নয়ন ঘটবে।
এ সময় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব হুমায়ুন কবির, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।