পরিবেশ

ধীরগতিতে কমছে নদ-নদীর পানি, বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির পথে

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যাপ্রবণ নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। কোনও কোনও নদীর পানি স্থিতিশীল আছে। সার্বিকভাবে বন্যা অবনতি না হলেও উন্নতি হচ্ছে ধীরগতিতে।

সোমবার (৮ জুলাই) এমন পূর্বাভাস দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।

পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান জানিয়েছেন, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে অপরদিকে যমুনা নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল আছে। আগামী দুই দিনে উভয় নদীর পানি সমতল ধীর গতিতে হ্রাস পেতে পারে। গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা একই সময় পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদীগুলোর পানি সমতল সার্বিকভাবে হ্রাস পাচ্ছে, যা অব্যাহত থাকতে পারে।

কুড়িগ্রাম, জামালপুর, গাইবান্ধা, বগুড়া, টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জ জেলার ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদী সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলের বন্যার পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে। দেশের উত্তরাঞ্চলের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি সমতল কমতে পারে এবং ধরলা ও দুধকুমার নদী সংলগ্ন কুড়িগ্রামের কতিপয় নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির ধীর গতিতে উন্নতি হতে পারে।

এদিকে, দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের আত্রাই নদীর পানি সমতল বাঘাবাড়ি পয়েন্টে স্থিতিশীল থাকতে পারে এবং উত্তরাঞ্চলের ঘাঘট নদীর পানি সমতল গাইবান্ধা পয়েন্টে হ্রাস পেতে পারে। এর ফলে, সিরাজগঞ্জ জেলার আত্রাই নদী সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে এবং গাইবান্ধার ঘাঘট নদী সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।

এ ছাড়া দেশের উত্তরাঞ্চল ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের বাঙালি, আপার করতোয়া, পুর্নভবা, টাঙ্গন, ইছামতি-যমুনা, আত্রাই, মহানন্দা এবং ছোট যমুনা নদীগুলোর পানি সমতলে বাড়াতে পারে। আগামী দু’দিন পদ্মা নদী গোয়ালন্দ পয়েন্টে সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে। এই সময়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন নিম্নাঞ্চলের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।

পাউবো জানিয়েছে, বর্তমানে ১০টি নদ-নদীর পানি ২১টি স্থানে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে এখনো ৯ জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত অবস্থায় রয়েছে।