নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কোটাকোল ইউনিয়নের তেলকাড়া গ্রামে মধুমতি নদীর তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। এখন পর্যন্ত নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে কয়েক হেক্টর আবাদি জমি ও বসতবাড়ি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, ইতোমধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলেই নদী ভাঙন রোধে কাজ শুরু করা হবে।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সকালে তেলকাড়া গ্রামের বাসিন্দা আমিরন বেগম জানান, তাদের পূর্বপুরুষের ৩০ বিঘা জমি বিভিন্ন সময়ে মধুমতি নদীতে বিলীন হয়েছে। এখন অন্যের জমি বর্গাচাষ করে পরিবারের সবাই জীবিকা নির্বাহ করছেন।
কোটাকোল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য ও একই গ্রামের বাসিন্দা মাহাবুর রহমান জানান, যেভাবে নদী ভাঙন শুরু হয়েছে, তাতে বসত বাড়ি কখন যে নদীগর্ভে বিলীন হয় এ নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। এবার বসতবাড়ি ভাঙলে আর মাথা গোঁজার ঠাঁই থাকবে না। একটাই দাবি, সরকারের পক্ষ থেকে যেন ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
তেলকাড়া গ্রামের ইউপি সদস্য নান্টু শিকদার বলেন, কয়েক বছর আগে এই ওয়ার্ডে ১ হাজার ৭০০ ভোটার ছিলেন। সেটি কমে এখন ১ হাজার ভোটার আছেন। নদী ভাঙনের কারণে বাড়ি হারিয়ে পরিবার নিয়ে ভোটাররা অন্যত্র চলে গেছেন। ভাঙন রোধে যদি সরকার এখনই পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে গ্রামটি।
নড়াইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. শফি উল্লাহ বলেন, ইতোমধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন পাঠানো হয়েছে। প্রকল্প অনুমোদন হলে ভাঙন কবলিত এলাকায় কাজ করা হবে।