সারা বাংলা

‘‌দানবীর’ হলেও ভাইদের জন্য কিছু করেননি আবেদ আলী

সৈয়দ আবেদ আলী জীবন মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার পশ্চিম বোতলা গ্রামের মৃত আব্দুর রহমান মীরের ছেলে। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে তার অবস্থান মেজো। তার বড় ভাই জবেদ আলী কৃষিকাজ করেন। ছোট ভাই সাবেদ আলী এখনো এলাকায় অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। এলাকার মানুষদের কাছে আবেদ আলী নিজেকে শিল্পপতি হিসেবে পরিচয় দিতেন। কয়েক বছর ধরে এলাকায় প্রচুর টাকা দান-খয়রাতও করছেন তিনি। 

বিভিন্ন মানুষকে আবেদ আলী টাকা দান করলেও তার সাহায্য কখনোই পাননি বলে জানিয়েছেন বড় ভাই জাবেদ আলী ও ছোট ভাই সাবেদ আলী।

এলাকার মানুষের কাছে আবেদ আলী দানবীর হিসেবে পরিচিত তিনি আপনার জন্য কী করেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে জাবেদ আলী বলেন, ‘আমি কৃষিকাজ করে সংসার চালাই। আমার কারো সাহায্য সহযোগিতার দরকার নেই। আমার ভাই বিভিন্ন সময়ে মানুষকে সাহায্য সহযোগিতা করতো। ভাই আমার জন্য কিছু করেনি। এতে আমার কোনো আক্ষেপ নেই।’ 

আবেদ আলীর বাড়ি

ছোট ভাই সাবেদ আলী বলেন, ‘আমার ভাইকে নিয়ে সারাদেশে আলোচনা হচ্ছে। এটা আমাদের জন্য খুবই লজ্জার বিষয়। আমরা কখনোই ভাইয়ের সাহায্য সহযোগিতা পাইনি। তার সাহায্য আশাও করি না। আমরা গরিব মানুষ হলেও আমাদের সম্মান আছে। আমি অটোরিকশা চালিয়ে সংসার চালাই। এটা আমার হালাল রুজি। প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে ভাই-ভাতিজা জেলে তাই কষ্টা লাগছে। অপরাধ করা উচিত হয়নি তাদের।’ 

এলাকাবাসী জানান, আবেদ আলীর ছেলে সোহানুর রহমান সিয়াম ব্যবহার করতেন দামি গাড়ি। আবেদ আলী নিজেও দামি গাড়িতে চড়তেন। এলাকার কেউ জানতেনই না তিনি গাড়ি চালক। তিনি ঢাকায় রিয়েল স্টেটের ব্যবসা করতেন বলে এলাকায় প্রচার ছিল। কয়েক বছর ধরে এলাকায় টাকা দান করছিলেন প্রশ্নফাঁস চক্রের হোতা আবেদ আলী।

তারা আরও জানান, আবেদ আলী মীর পদবি পাল্টে নামের আগে সৈয়দ পদবি ব্যবহার শুরু করেন। তিনি গ্রামের বাড়ি এসে উপজেলা নির্বাচনের প্রচারণায় নামেন। রাজনীতির মাঠে কোটি টাকার গাড়িতে চড়ে গণসংযোগ করেন আবেদ আলী ও তার ছেলে সোহানুর রহমান সিয়াম। এলাকায় বাবা ছেলে দু-হাত ভরে টাকা দান-খয়রাত করতেন। নিজ গ্রামে আবেদ আলী কোটি টাকা খরচ করে বাড়ি নির্মাণ করেছেন। বাড়ির পাশে করেছেন মসজিদ নির্মাণও।