গুঞ্জন ছিল, রাহুল দাব্রিড়ের জায়গায় স্থলাভিষিক্ত হবেন গৌতম গম্ভীর। তা-ই হয়েছে। ২০১১ বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটারকে ভারতের পুরুষ জাতীয় দলের কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে বিসিসিআই।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর দ্রাবিড় আর কোচ থাকবেন না তা আগেই জানা ছিল সবার। বিসিসিআই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চলাকালীন গম্ভীরের সাক্ষাৎকার নিয়েছিল। কোচ হিসেবে গম্ভীর বোর্ডের প্রথম পছন্দ তা ছিল অনেকটাই ওপেন সিক্রেট। তাই তাকে নিয়োগ দিতে বেশি সময় নেয়নি তারা।
রবী শাস্ত্রী, রাহুল দ্রাবিড়ের পর গম্ভীর। হেড কোচ নিয়োগে বিসিসিআই টানা তিন মেয়াদে ভরসা রাখল সাবেক ভারতীয় কোচের ওপর। গম্ভীরের কোচিং ক্যারিয়ার তেমন নেই। আইপিএলের বিভিন্ন দলের মেন্টর হিসেবে কাজ করেছেন কেবল। সবশেষ আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের মেন্টর ছিলেন। দলকে শিরোপা জেতাতে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি। তারপর থেকেই ভারতের কোচ হিসেবে গম্ভীরের নাম আলোচনায় আসে।
খেলা ছাড়ার পর গম্ভীরকে জাতীয় দলের আশপাশেও দেখা যায়নি। তবে তার জীবনবোধ এবং দর্শন বারবার প্রশংসা হয়েছে সর্বত্র। সোজাসাপ্টা অকপট কথা বলতে পারেন বলে ভালো বক্তা হিসেবেও পরিচিত গম্ভীর। সঙ্গে ম্যান পাওয়ার ম্যানেজমেন্টও দারুণ। ভারতীয় দলকে এগিয়ে নিতে এমন একজন কোচই উপযুক্ত বলে মন্তব্য করেছেন বিসিসিআইয়ের সচিব জয় শাহ।
নতুন করে, নতুন ভূমিকায় ভারতের দায়িত্ব পাওয়ায় খুশি গম্ভীর। কোচ হিসেবে নিয়োগের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় গম্ভীর বলেছেন, ‘ভারত আমার পরিচয় এবং দেশের সেবা করা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় সুযোগ। আমি ফিরে আসতে পেরে গর্বিত, যদিও একটি ভিন্ন দায়িত্বে ফিরেছি। কিন্তু আমার লক্ষ্য সব সময়ের মতোই, প্রত্যেক ভারতীয়কে গর্বিত করা। ‘‘মেন ইন ব্লু’’-দের কাঁধে ১.৪ বিলিয়ন ভারতীয়দের স্বপ্ন এবং আমি এই স্বপ্নগুলোকে সত্যি করতে আমার শক্তির সবকিছু দিয়ে চেষ্টা করবো।’
ভারত এখন জিম্বাবুয়েতে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে। এই দলের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন ভিভিএস লক্ষণ। পরবর্তী সিরিজে গম্ভীর দায়িত্ব বুঝে নেবেন।