সারা বাংলা

‘ঝুলন্ত রায়’ নয়, চাই কোটা সংস্কারে স্থায়ী সমাধান

সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে‌ রংপুরেও সড়ক অবরোধ করে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করেছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় মুক্তিযোদ্ধা কোটা ইস্যুতে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের ওপর আপিল বিভাগের স্থিতাবস্থাকে ‘ঝুলন্ত রায়’ বলে আখ্যা দিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘হাইকোর্টের ‘ঝুলন্ত রায়’ আর নয়। চাই কোটা সংস্কারের স্থায়ী সমাধান।’

বুধবার (১০ জুলাই) বেলা ১২টায় আন্দোলনকারীদের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির আলোকে রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে কোটা বিরোধী র‌্যালী বের করে শিক্ষার্থীরা। পরে সড়ক অবরোধ করে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। এতে বিভাগীয় সড়ক পথে আট জেলার সাথে দূরপাল্লার যোগাযোগ ব্যবস্থা সাময়িকভাবে ভেঙে পড়ে এবং তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। দুপুর আড়াইটা এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মর্ডান মোড়ে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা।

এ সময় শিক্ষার্থীদের ‘কোটা না মেধা-মেধা মেধা, আপস না সংগ্রাম-সংগ্রাম সংগ্রাম, ‘আঠারোর পরিপত্র-পুনর্বহাল করতে হবে, ‘কোটাপ্রথা নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক, ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটাপ্রথার কবর দে, ‘আমার সোনার বাংলায়-বৈষম্যের ঠাঁই নাই, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়। 

আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী শামসুর রহমান সুমন বলেন, ‘আদালত ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল রেখেছে। তবে এখানে কিছু আইনি দুর্বলতা থাকার সুযোগ রয়েছে। আমরা কোটা নিয়ে স্থায়ী সমাধান চাই। সব গ্রেডে অযৌক্তিক এবং বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লেখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যূনতম মাত্রায় আনতে হবে।’ 

আরেক শিক্ষার্থী শিহাব মন্ডল বলেন, ‘আমরা বারবার টালবাহানা দেখতে চাই না। আন্দোলন করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করতে চাই না। আমরা দেশের সুনাগরিক হতে চাই। আমরা চাই, এই আন্দোলনের মধ্য দিয়েই সরকারি চাকরিতে বৈষম্যহীন কোটা ব্যবস্থা চলে আসুক, যেটা বার বার পরিবর্তনের দরকার হবে না।’ 

সমাজবিজ্ঞান বিভাগের আহসান হাবীব বলেন, ‘আমাদের দাবি হচ্ছে সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে সকল গ্রেডে বৈষম্যমূলক কোটা প্রথা বাতিল করে সকল পক্ষের জন্য মোট ৫ শতাংশ কোটা রাখা যেতে পারে। তাই কোটা সংস্কারের বিষয়ে নির্বাহী বিভাগ থেকে সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।’