খেলাধুলা

৩৬ বছর পর ফাইনালের হাতছানি নেদারল্যান্ডসের

সবশেষ ১৯৮৮ সালে ইউরোর ফাইনাল খেলেছিল নেদারল্যান্ডস। সেবার সোভিয়েত ইউনিয়নকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল রুড গুলিত ও রোনাল্ড কোম্যানরা। ৩৬ বছর পর আবার ইউরোর ফাইনালে ওঠার হাতছানি নেদারল্যান্ডসের সামনে। এবার কোম্যান আছেন দলটির কোচের ভূমিকায়। আর তাকে আরও একবার ফাইনালের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন দীপায়ে, ফন দাইক ও কোডি গাকপোরা।

তবে তিন যুগ পর ইউরোপ সেরার প্রতিযোগিতার ফাইনালে উঠতে হলে তাদের টপকাতে হবে ইংল্যান্ডের বাধা। যারা বিশ্বকাপ ও ইউরোর সবশেষ চার আসরের তিনটিতেই সেমিফাইনাল খেলেছে। এমনকি ইউরোর সবশেষ আসরেও তারা ফাইনাল খেলেছে। এবার তাদের সামনে ব্যাক টু ব্যাক ফাইনালে ওঠার সুযোগ। আর ফাইনালে উঠরে পারলে মেজর কোনো শিরোপা জয়ের ৫৮ বছরের অপেক্ষার পালা ঘোচানোর সুযোগ পাবে গ্যারেথ সাউথগেটের শিষ্যরা।

অবশ্য ইংল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডস দুটি দলই গ্রুপপর্বে আহামরি পারফরম্যান্স করে আসতে পারেনি। এমনকি তারা তাদের সমর্থকদের মন ভরাতে পারেনি। নেদারল্যান্ডস শেষ ষোলোতে রোমানিয়াকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে আসে। এরপর তুরস্কের বিপক্ষে শুরুতে পিছিয়ে পড়েও আত্মঘাতী গোলে ২-১ ব্যবধানে জিতে সেমিফাইনালে নাম লেখায় ২০ বছর পর।

অন্যদিকে ইংল্যান্ড শেষ ষোলোর ম্যাচে স্লোভাকিয়ার বিপক্ষে অতিরিক্ত সময়ে কষ্টে জিতে আসে শেষ আটে। আর সেখানে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে টাইব্রেকারে ৫-৩ ব্যবধানে জিতে ব্যাক টু ব্যাক সেমিফাইনালে আসে। এবার তাদের সামনে ব্যাক টু ব্যাক ফাইনালে ওঠার সুযোগ।

নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে অবশ্য ইংল্যান্ডের ইউরোতে খুব বেশি সাক্ষাৎ হয়নি। ১৯৯৬ সালে একবার হয়েছিল। সেই ম্যাচে ডাচদের ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল ইংলিশরা। এরপর অবশ্য বড় মঞ্চে দল দুটির আর দেখা হয়নি। লম্বা সময় পরের দেখায় কারা হাসে শেষ হাসি দেখার বিষয়।