সারা বাংলা

ঋণখেলাপি মামলায় আওয়ামী লীগ নেত্রী গ্রেপ্তার

ঋণখেলাপির মামলায় পটুয়াখালী জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকিয়া সুলতানা বেবিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বুধবার (১০ জুলাই) দুপুরে শহরের ফায়ার সার্ভিস এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই দিনে বিকেলে আদালতে পাঠালে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

সোনালী ব্যাংক পটুয়াখালী শাখার ব্যবস্থাপক জিল্লুর রহমান জানান, পটুয়াখালী বিসিক শিল্প নগরীতে জাকিয়া সুলতানা বেবি ও তার স্বামী সিরাজুল ইসলাম খানের যৌথ মালিকানাধীন পটুয়াখালী টেক্সটাইল মিলের নামে ১৯৮৫ সালে সোনালী ব্যাংক পটুয়াখালী শাখা থেকে ২ কোটি ২৩ লাখ ২৪ হাজার টাকা ঋণ নেন সিরাজুল-জাকিয়া দম্পতি। বন্ধকী হিসেবে জমা দেন তাদের বরিশাল রূপাতলী এলাকার জমির দলিল ও জাকিয়া-সিরাজুলের যৌথ মালিকাধীন পটুয়াখালী সিএন্ডবি সড়কের বাড়ির দলিল। প্রায় ৩৯ বছর আগে নেওয়া ওই ঋণ আদায়ে ব্যাংক থেকে কয়েকবার সম্পূর্ণ সুদ মওকুফের সুবিধা দেয়া হলেও এক টাকাও পরিশোধ করেননি তারা। টাকা আদায়ের জন্য ১৯৯৪ সালের ৯ এপ্রিল, ২০১১ সালের ২৭ জুলাই ও ২০২২ সালের ১২ জানুয়ারি শতভাগ সুদ মওকুফের অনুমোদন দেয় ব্যাংকের তৎকালীন পরিচালনা পর্ষদ। সেই টাকা পরিশোধ না করলে সর্বশেষ তাদের ৬ বছরে ৭২ কিস্তিতে ৩ কোটি ১৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা পরিশোধ করার সুযোগ দেওয়া হলেও তারা সেই সুযোগও কাজে লাগাননি। সুদাসলে বর্তমানে সেই টাকার আদায়যোগ্য পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জাকিয়ার স্বামী সিরাজুলকে ঋণখেলাপি ঘোষণা করে ২০০৪ সালে পটুয়াখালী অর্থ ঋণ আদালতে একটি মামলা করে। মামলা চলমান অবস্থায় সিরাজুল মৃত্যুবরণ করলে প্রতিষ্ঠানটির পুরো মালিকানা পান জাকিয়া সুলতানা এবং ঋণখেলাপির মামলাটির মূল বিবাদী হিসেবে গণ্য করা হয় তাকে। ঋণের টাকা পরিশোধ না করায় ২০২৩ সালের ২৯ মে পটুয়াখালী যুগ্ম জজ ১ম আদালতের বিচারক মো. হুমায়ুন কবির জাকিয়া সুলতানার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

পটুয়াখালী সদর থানার ওসি (তদন্ত) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, সোনালী ব্যাংকের প্রায় ৯ কোটি টাকা ঋণখেলাপি মামলায় আদালত থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকায় জাকিয়া সুলতানা বেবিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।