কোটাবিরোধী আন্দোলনকে সরকারবিরোধী আন্দোলন বানাতে বিএনপি চেষ্টা করছে মন্তব্য করেছেন আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিকেলে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
কাদের বলেন, কোটা সংস্কারের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ৪ সপ্তাহে স্থিতিবস্থা দিয়েছেন। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ধৈর্যধারণ করে আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকার আহ্বান জানিয়েছিলাম। বিষয়টি নিয়ে যখন বিচারিক প্রক্রিয়া চলমান, তার প্রতি কোনও প্রকার সম্মান না করে আন্দোলনকারীরা ‘বাংলা ব্লকেড’র নামে মানুষকে কষ্ট দিচ্ছে।
কোটা নিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের জনদুর্ভোগ সৃষ্টিকারী সকল প্রকার কর্মসূচি বন্ধ করে আদালতের নির্দেশনা মেনে অবিলম্বে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে ফিরে যাওয়ার আহ্বানও জানান সেতুমন্ত্রী।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের আবেগকে পুঁজি কোন মহল যদি দেশে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায় তাহলে সরকারকে অবশ্যই আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, কোনও কোনও অশুভ মহল দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে ব্যাহত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, গত পাঁচ বছরে কোটা না থাকায় নারীরা পিছিয়ে গেছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী। বৈচিত্র্যময়, সমতাভিত্তিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা গঠনে কোটার গুরুত্ব রয়েছে। কোটা কোনও বৈষম্য নয়, বরং বৈষম্য নিরসনে কোটা প্রয়োজন কোনও কোনও ক্ষেত্রে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের সর্বোচ্চ আদালত সংবিধানের রক্ষক, আদালতের প্রতি সম্মান দেখাতে হবে। আন্দোলনের নামে জনগণের চলাফেরা, যানবাহন চলাচলে বাধা সৃষ্টি করা বেআইনি।
তিনি আরও বলেন, বিএনপিসহ কিছু দল আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছেন। শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক ফাঁদে ফেলে আন্দোলনের ব্যর্থতা পেছনে রেখে নতুন পাঁয়তারা করছে। কোটাবিরোধী আন্দোলনকে সরকারবিরোধী আন্দোলনের চেষ্টা করছে বিএনপি। ফখরুল বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটার দরকার নেই। তাদের মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সম্মান নেই। কোটাবিরোধীতা করে বিএনপি মুক্তিযুদ্ধবিরোধী, তার প্রমাণ আবারও দিয়েছে।
এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, আনোয়ার হোসেন, কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।