সে একটা দিন ছিল রৌদ্রকরোজ্জ্বল আলো ঝলমল একটা দিন দিনটি সকালের মতো সাদা কমলা রঙের মতো টুকটুকে সে-ই একটা দিন একটা দিশেহারা ভাস্কর্যের মতন সেইদিন আমি তোমার সঙ্গে ছিলাম তুমিও আমার সেইদিন সমস্ত বধির পৃথিবী তার চেয়ে বিশালাকায় একটি বট অথবা তোমার চুম্বনে চুম্বনে পুড়ে যাওয়া গোলাপী অধর তার চেয়ে বিষাদাকৃতির মতন অজস্র খাদ ও খোড়ল আর সারি-সারি সাদাকালো বক ও পিঁপড়ের নদী নূহের পড়াবু উপেক্ষা করে নৌকায় দূরন্ত পালের ঘ্রাণে কোনোরকম অর্থসম্পর্কিত গান গেয়েছিল কিনা আজ আর সেই দিনটার কথা মনে পড়ছে না তবু এইটুকু মনে পড়তেই হবে সেইদিন তুমি এক অথবা ততোধিক দুর্দান্ত নহবত খানা পাঞ্জাবির পকেটে নিয়ে রমনা পার্কের ঘাসে-ঘাসে বাজিয়েছিলে সারেঙ্গীর ধড় সে-ই যে তোমার কিশোরী মুঠোয় নমিত ধুরন্ধর মনে পড়ে দাদা বলেছিল— ‘ধর মাহমুদ ধর’... দাঁড়া টানটান আর তুমিও সেদিন বনে গেলে ক্ষুব্ধ লাঠিয়াল উঠোনের ঈষাণ বায়ু অগ্নি নৈরুতজুড়ে তোমার উজ্জ্বল কচি কনিষ্ঠ কব্জির দ্যুতি আর সমন্বিত সকলেই হোই হোই ধ্বণিতে ধাই ধাই... তার এতকাল পরে এই একটা কিছুনার মতন আমি কতিপয় কবির সাক্ষাৎকার নেব বলে পড়ি-মরি করতে করতে তোমার দরজাঅব্দি পৌঁছাতে না-পৌঁছাতেই তুমি এক ঠুনকো ফেরিঅলার কাঁধে চড়ে থরে থরে ঠোঁট থেকে ঠোঁটে বাতাসের পরতে পরতে পরম ছেনালীপনায় হাওয়াই মেঠাই হয়ে গেলে.... আর সেই যে তুমি গেলে কোন দিকে গেলে বলো তো মাহমুদ বলো কবি