পর্যটন শহর কক্সবাজারে নালার ওপর নির্মিত ১০টি স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে প্রশাসন। একই সঙ্গে নালার ওপর থাকা অন্যান্য অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে দখলকারীদের আলটিমটাম দেওয়া হয়েছে। রোববার (১৪ জুলাই) প্রথমদিন জেলা গণগ্রন্থাগার, শহরের কানাইয়া বাজার ও লাইট হাউজ এলাকায় চালানো অভিযানে নেতৃত্ব দেন পৌর মেয়র মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী।
অভিযান শেষে মেয়র মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘কক্সবাজার পৌরসভার পানি নিষ্কাশনে অসংখ্য ছোট ছোট নালা রয়েছে। এসব নালার পানি ৮-১০টি বড় ড্রেনের মাধ্যমে বাঁকখালী নদীতে গিয়ে পড়ে। বছরের পর বছর নালা দখল করে দখলবাজ চক্র দেয়ালসহ বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে তুলেছে। এতে পৌরসভার পরিচ্ছন্ন কর্মীরা নালাগুলো পরিষ্কার করতে পারেন না। যার কারণে বৃষ্টি হলেই শহরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। তাই পৌরবাসীকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিতে এই অভিযান শুরু হয়েছে। যা প্রতিদিন চলবে। নালা দখলকারীরা যতই শক্তিশালী হোক, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’
কক্সবাজার নাগরিক আন্দোলনের সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘নালা দখল ও অপরিকল্পিত উন্নয়নের কারণে বৃষ্টি হলেই পৌরবাসীকে সীমাহীন কষ্টে পড়তে হয়। তাই এই অভিযান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শহরের নালাগুলো দখলমুক্ত হলে বর্তমান ও আগামী প্রজন্ম সুফল ভোগ করবে। পাশাপাশি জলাবদ্ধতামুক্ত হবে পর্যটন শহর।’
কক্সবাজার নাগরিক ফোরামের সভাপতি আ.ন.ম হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘শহরের প্রধান সড়ক ও বহু রাস্তা উঁচু করে ফেলা হয়েছে। হোটেল-মোটেল জোনে হাঁটু পরিমাণ পানি হবে কেউ কল্পনাই করেনি। নালাগুলো অপরিকল্পিত হওয়ার কারণে জলাবদ্ধতা এখন প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। নালা দখল করে যত্রতত্র গড়ে তোলা স্থাপনাগুলো স্থায়ীভাবে উচ্ছেদ করা দরকার।’