বাংলাদেশের ক্রিকেটের প্রচলিত নিয়ম, কেউ এক ফরম্যাটে ভালো করলে তাকে অন্য সবগুলোতেই খেলিয়ে দেওয়া হয়। তাতে হয়ে যায় জগাখিচুড়ি। অতীতে এমন ঘটনা অনেক আছে। বর্তমান সময়ে রিশাদ হোসেন সাদা বলের ক্রিকেটে ভালো করছেন। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টিতে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে রিশাদেরপারফরম্যান্স ছিল চমকপ্রদ। ৭ ম্যাচে ২৫ ওভার বোলিং করে ২১ বছর বয়সী এই স্পিন অলরাউন্ডার ৭.৭৬ ইকোনমি রেটে ১৪ উইকেট শিকার করেন। যা বাংলাদেশি বোলার হিসেবে বিশ্বকাপের এক আসরে সর্বোচ্চ উইকেটের কীর্তি।
তবে রিশাদকে এখনই লাল বলের ক্রিকেটের জন্য বিবেচনায় আনতে রাজি নন জাতীয় দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তার চোখে, রিশাদ এখনও প্রস্তুত নন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের কোচিং স্কোয়াডে যুক্ত হন মুশতাক আহমেদ। কিংবদন্তি এই লেগ স্পিনারের ছোঁয়ায় রিশাদের পরিবর্তন হয়েছে তা স্পষ্ট বোঝা যায়। তবে মুশতাককে বিশ্বকাপের পর আর পায়নি বাংলাদেশের। চুক্তি নবায়ন করা হয়নি।
রিশাদের উন্নতির জন্য শুধুমাত্র মুশতাককে কৃতিত্ব দিতে চান না শান্ত। ঘরোয়া ক্রিকেটের কোচদেরও ক্রেডিট দিয়েছেন শান্ত,‘উনি (মুশতাক) খুবই ভালো কাজ করেছেন। জানি না বোর্ডের সাথে কী ধরনের চুক্তি ছিল। সম্ভবত বিশ্বকাপ পর্যন্তই ছিল আমি যতটুকু জানি। তবে দারুণ কাজ করেছেন। রিশাদ খুবই কম্ফোর্টেবল ছিল, বাকি স্পিনাররাও ছিল।’
‘কিন্তু আমি শুধুমাত্র মুশতাক আহমেদ- ওনাকেই কৃতিত্ব দিতে চাই না। রিশাদ কিন্তু আরও আগে থেকেই আমাদের স্থানীয় কোচিং স্টাফদের কাছ থেকে কোচিং নিচ্ছিলো। মুশতাক আহমেদ, ওনার যে অভিজ্ঞতা অনেক বছর খেলার, উনি বিশ্বকাপ জিতেছেন, বিশ্বকাপজয়ী দলের কোচ ছিলেন, যে অভিজ্ঞতাগুলো রিশাদের সাথে শেয়ার করেছেন।’- যোগ করেন শান্ত।
শান্ত আরও বলেন, ‘ট্যাকটিকালি কিছু বিষয় রিশাদের সাথে শেয়ার করেছেন, যেটা ওর খুব উপকারে এসেছে। তবে স্থানীয় কোচদের অনেক বড় একটা ভূমিকা ছিল। তাকে প্রেরণা যোগানো, তার কোথায় কোথায় ঘাটতি সেটা ধরিয়ে দেয়া, সেখানে সোহেল ইসলাম ছিলেন, আরও কিছু স্পিন বোলিং কোচ ছিলেন, তারা রিশাদের সঙ্গে কাজ করেছেন। তাই কৃতিত্বটা স্থানীয় কোচ ও ওনার কাছে সমানভাবেই যায়।’- যোগ করেন শান্ত।
টেস্টের কথা আলোচনায় উঠলে শান্ত নিজের মত দিয়েছেন এভাবে, ‘এই ব্যাপারে নির্বাচকরাই ভালো বলতে পারবেন। তবে আমার অভিজ্ঞতা যতটুকু বলে, আমার মনে হয় না এই মুহূর্তে ও লাল বলের ক্রিকেটের জন্য প্রস্তুত।’