জাতীয়

কোটা আন্দোলন নিয়ে সমিতির প্যাডে নিপুণের বিবৃতিতে সমালোচনা 

কোটা সংস্কার আন্দোলনের উত্তাপ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছেন অভিনেত্রী ও চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নিপুণ আক্তার। 

মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) ভোরে নিপুণ ফেসবুকে কোটা নিয়ে একটি পোস্ট দেন। তার পোস্ট নিয়ে শুরু হয়েছে সমালোচনা।

নিপুণ বিবৃতিতে বলেছেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের এই ঋণ আমরা কোনোদিন শোধ করতে পারব না। বাঙালি তার শেষ বিন্দু রক্ত দিয়ে হলেও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে যাবে।’

এরপর তিনি কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রসঙ্গে টেনে এনে বলেছেন, ‘কোটা সংস্কারের যৌক্তিক আন্দোলন নিয়ে আমাদের কিংবা রাষ্ট্র কারও কোনও বিভেদ নেই। কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর যে কোনো যৌক্তিক রাজনৈতিক বা সামাজিক আন্দোলনের প্রতি আমাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। কিন্তু এই কোটা আন্দোলনকে ইস্যু করে যারা মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান করছেন এবং রাজাকারদের প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছেন তাদের প্রতি তীব্র নিন্দা, ঘৃণা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। মনে রাখতে হবে… তুমি কে?, আমি কে?, বাঙালি, বাঙালি… এই স্লোগান বাঙালি জাতির সবচেয়ে গর্বের স্লোগান। জয় বাংলা।’

মূলত তিন কারণে সমালোচনার মুখে পড়েছেন নিপুণ। প্রথমত, নিপুণ বিবৃতি দিয়েছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির অফিসিয়াল প্যাড ব্যবহার করে। সেখানে তিনি নিজেকে ‘সাবেক সাধারণ সম্পাদক’ বলেছেন।

বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির কোনও পদবিতে নেই। তাহলে তিনি কীভাবে সমিতির অফিসিয়াল প্যাড ব্যবহারের এখতিয়ার রাখেন— অনেকেই এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। দ্বিতীয়ত, নিপুণের দেওয়া বিবৃতির সঙ্গে টেলিভিশনের অভিনয়শিল্পী সংঘের বিবৃতির মিল রয়েছে।  তৃতীয়ত, নিপুণের বিবৃতিতে এই আন্দোলনে সহিংসতা ও নিহত হওয়ার মতো ঘটনা এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।

নিপুণের পোস্টে মন্তব্যের ঘরে মাসুদ রানা নকীব নামে একজন লিখেছেন, ‘কিন্তু কথা হচ্ছে সমিতির বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে উপেক্ষা করে আপনি কীভাবে সমিতির প্যাড ইউজ করে প্রতিবাদ জানান? আপনি তো এই কমিটির কোনো পদেও নেই। সাবেক সাধারণ সম্পাদক হয়েও সমিতির প্যাড ইউজ করার নিঞ্জা টেকনিক দেখিয়ে দিলেন আপা!’

মো হাসিবুজ্জামান নামে আরেকজন লিখেছেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের মত সম্মানিত বিষয়গুলোকে সামনে রেখে আপায় নিজের স্বার্থ উদ্ধার করতে যেয়ে বিতর্কের সৃষ্টি করেছেন।’

বিষয়টি নিয়ে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির বর্তমান কমিটির কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।