ক্যাম্পাস

‘আমার হলে আমি থাকব, আপনি নিষেধ করার কে?’

’আমার হলে আমি থাকব, আপনি নিষেধ করার কে?’- স্লোগানে মুখরিত গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি)। ছয় ঘণ্টার মধ্যে প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার না করলে আবারও উপাচার্য ভবন ঘেরাও করা হবে বলে আল্টিমেটাম দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (১৭জুলাই) বিকেলে উপাচার্য ভবনের সামনে অবস্থান নেন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

জানা যায়, বুধবার সকাল ১১টায় রিজেন্ট বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। এ নিয়ে দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. দলিলুর রহমান স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে ছাত্রদের বিকেল ৫টার মধ্যে হলের ত্যাগের নির্দেশনা দেওয়া হয়। এছাড়া ছাত্রীদের বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশনা দেওয়া হয়।

এরপরই শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা যায়। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তীব্র বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখান। এরপর বিকেল ৩টায় মিছিল বের করেন তারা।

মিছিলে ‘আমার হলে আমি থাকব, তুমি বলার কে?’, ‘শিক্ষা সন্ত্রাস, একসঙ্গে চলে না’সহ বিভিন্ন স্লোগান নিয়ে উপাচার্য ভবন ঘেরাও করেন তারা।

সেখানে শিক্ষার্থীরা বলেন, অবিলম্বে এই বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করতে হবে। আমরা রাত ১২টা পর্যন্ত উপাচার্যকে সময় দিয়েছি। এ সময়ের মধ্যে যদি বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করা না হয়, তাহলে আমরা কঠোর কর্মসূচিতে যাব। আমরা কোটা সংস্কার না করে বাড়ি যাব না।

হলের ত্যাগের বিষয়ে আন্দোলনে অংশ নেওয়া লোক প্রশাসন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সুবর্ণা জয় বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় আমার, এই হল আমার। আমার হলে আমি থাকব। ইউজিসি আমাকে নিষেধ করার কে? রিজেন্ট বোর্ড আমাকে নিষেধ করার কে? 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক শিক্ষার্থী বলেন, উপাচার্য হয়তো ভয় পান। তিনি আমাদেরকে নিরাপত্তা দিতে পারবেন না, সেজন্য হয়তো হল ত্যাগের নির্দেশনা দিয়েছে। উপাচার্যের যদি নিরাপত্তার অভাব হয়, তাহলে আমরা তাকে নিরাপত্তা দিব। হল আমাদের, আমাদের হলে আমরা থাকব। 

আন্দোলনস্থলে উপস্থিত হয়ে উপাচার্য বলেন, হল ত্যাগের নির্দেশনা আমার না। এটি ইউজিসি থেকে নেওয়া হয়েছে। আমরা শুধু প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করেছি। শিক্ষার্থীরা যদি হলে থাকতে চায়, তাহলে আমরা তাদের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা দিবো। আমরা পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি।

তিনি বলেন, রিজেন্ট বোর্ডের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে।