এনজো ফার্নান্দেজের বর্ণবাদী আচরণ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনায় জড়িয়ে পড়লেন লিওনেল মেসি। আর্জেন্টাইন অধিনায়ককে ক্ষমা চাইতে বলে চাকরি হারালেন দেশটির ক্রীড়া কর্মকর্তা আন্ডার সেক্রেটারি অব স্পোর্টস জুলিও গারো। তাকে বরখাস্ত করেছেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট জাভিয়ের মিলেই।
কোপা আমেরিকার ২০২৪ সালের আসরে আর্জেন্টিনা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লাইভ ভিডিওতে এনজো ফার্নান্দেজকে বর্ণবাদী গান গাইতে দেখা যায়। তার সঙ্গে তাল মেলান সতীর্থরাও। সেই গানে ফ্রান্সকে নিয়ে অপমানজনক ও বর্ণবাদী ভাষা ছিল।
যদিও এই ঘটনার সময় মেসি ছিলেন না। তাও ঘটনার জের ধরে মেসি ও আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (এএফএ) সভাপতি ক্লদিও তাপিয়াকেও ক্ষমা চাইতে বলেছিলেন গারো। তিনি বলেছিলেন, ‘জাতীয় দলের অধিনায়কের এ জন্য ক্ষমা চাওয়া উচিত। এএফএ সভাপতিরও ক্ষমা চাওয়া উচিত। এটা আমাদের গৌরবান্বিত দেশকে বাজে পরিস্থিতিতে ফেলেছে।’
এরপরই আর্জেন্টিনা সরকারের অফিশিয়াল এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে গারোকে বরখাস্ত করার ঘোষণা দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয়, ‘প্রেসিডেন্ট অফিস জানাচ্ছে যে আর্জেন্টিনা জাতীয় দল কিংবা কোনো নাগরিক কী ভাববে, কী করবে, সেটা কোনো সরকার বলতে পারে না। এ কারণে জুলিও গারো আর্জেন্টিনার আন্ডার সেক্রেটারি অব স্পোর্টসের দায়িত্বে থাকছেন না।’
বরখাস্ত হওয়ার পর এক্সে করা পোস্টে গারো দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমার কথা যদি কাউকে আঘাত করে, তাহলে দুঃখিত। এটা আমার উদ্দেশ্য ছিল না। তবে আমি সব সময়ই যেকোনো ধরনের বর্ণবাদের বিরুদ্ধে থাকব।’
এর আগে টিম বাসে খেলোয়াড়দের উদ্যাপন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে লাইভ করছিলেন ফার্নান্দেজ, যেখানে ওই বর্ণবাদী গানটি শোনা যায়। ২০২২ সালের বিশ্বকাপ ফাইনাল প্রতিপক্ষ ফ্রান্সকে নিয়ে গানটি বানিয়েছিলেন আর্জেন্টিনার সমর্থকেরা। এ ঘটনায় অবশ্য ফার্নান্দেজ ক্ষমা চেয়েছেন। ক্ষমা চেয়েও অবশ্য পার পাচ্ছেন না ফার্নান্দেজ।