স্ট্রোকে মস্তিষ্কের কোষ কম-বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কারণ স্ট্রোক মূলত মানুষের মস্তিষ্কে আঘাত করে। ব্রিটেনের জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের গবেষণা তথ্য হচ্ছে— মস্তিষ্কের কোনো অংশে রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে মস্তিষ্কের কোষগুলো মরে গেলে স্ট্রোক হয়।
অনেক সময় মানুষের শরীরের প্রতিটি কোষে রক্ত সঞ্চালন বাধাগ্রস্ত হয়। ফলে শরীরের কোষে কোষে অক্সিজেন পৌঁছায় না। কোন কারণে যদি মস্তিষ্কের কোষে রক্ত সঞ্চালন বাধাগ্রস্ত হয় বা রক্তনালী বন্ধ হয়ে যায় অথবা ছিঁড়ে যায় তখনই স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। স্ট্রোকের পরে কারও কারও মুখের এক পাশ বেঁকে যায়। আবার কেউ কেউ স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারেন। রোগীর সুস্থতা-অসুস্থতা নির্ভর করে ব্রেনের সেল বা মস্তিষ্কের কোষ কতটুকু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার ওপর। কোনো কোষ অল্পমাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত হলে আশেপাশের কোষগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্য করতে পারে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা।
ডিএমসি-এর সহকারী অধ্যাপক এবং ব্রেইন অ্যান্ড স্পাইন সার্জন ডা. কানিজ ফাতেমা ইশরাত জাহান বলেন— আমাদের শরীরের চামড়া যদি কেটে যায় তাহলে কিছুদিন পরে চামড়া আবার গজিয়ে যায়। কারণ রিজেনারিটি পাওয়ার অনেক বেশি। কিন্তু আমাদের ব্রেনের একক হচ্ছে নিউরন। এই নিউরনগুলো পারমানেন্থ সেল। এগুলো একবার যদি নষ্ট হয়ে যায় তাহলে আর ভালো হয় না।
স্ট্রোক দুই কারণে হয়:
এক. রক্তনালী শুকিয়ে যাওয়া
দুই. রক্ত ক্ষরণজনিত কারণ
ডা. কানিজ ফাতেমা আরও বলেন, ‘রক্তনালী শুকিয়ে যাওয়ার ফলে ব্রেনের সেল নষ্ট হতে থাকে। সেক্ষেত্রে নষ্ট সেলগুলো আর ভালো হয় না। কিন্তু এরপরেও রোগী বেঁচে থাকেন এবঙ সুস্থ থাকতে পারেন। যদি ব্রেনের সেল অল্প নষ্ট হয় তাহলে তার চারপাশের সেলগুলোর সঙ্গে ভারসাম্য তৈরি করে ফেলে। আর যদি বেশি হয় তাহলে ভারসাম্য পুরোপুরি তৈরি হয় না। ’
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গবেষকেরা বলছেন জিঙ্কো বিলোবা নামে একটি গাছের ভেষজ নির্যাস স্ট্রোক আক্রান্ত রোগীর মস্তিষ্ক আবার কার্যক্ষম করে তুলতে সাহায্য করতে পারে।