ক্যাম্পাস

শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ চবি শিক্ষক সমাজের

প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদেরকে হেয় এবং কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষক সমাজ (সাদা দল)।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।

বিবৃতিতে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরকে হেয় করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। একইসঙ্গে কোটাবিরোধী আন্দোলনের নিরীহ শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রলীগ ও পুলিশের নারকীয় তাণ্ডবের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, যে কোনো যৌক্তিক আন্দোলন একটি গণতান্ত্রিক সমাজে সব মানুষের অধিকার। অথচ ‘প্রত্যয়’ স্কিম প্রত্যাহারের আন্দোলনে নিজেদের অন্তভূক্তির কারণে প্রধানমন্ত্রী শিক্ষকদেরকে ‘তুই তোকারি’ করে যে সংকীর্ণতার পরিচয় দিয়েছেন, তা সমগ্র জাতির জন্য ভীষণ পরিতাপের। এ জাতীয় ভাষা ব্যবহারে শিক্ষকরা যেভাবে মর্মাহত হয়েছেন, তাতে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে দুঃখপ্রকাশ ছিল খুবই কাঙ্ক্ষিত। অথচ ঘটনার চারদিন পরেও আমরা তার প্রতিফলন দেখিনি যা শিক্ষকদের ক্ষুব্ধ করেছে।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, একটি উন্নত রাষ্ট্র গঠনে মেধাবীদের অগ্রাধিকার যে কোনো সমাজেরই সাধারণ প্রক্রিয়া। অথচ বাংলাদেশ সৃষ্টির ৫৩ বছর পরেও বিসিএসসহ বিভিন্ন চাকরির নিয়োগে যে পরিমাণ কোটা বিদ্যমান তা এক কথায় মেধাবী জাতি গঠনের অন্তরায়। এ পরিস্থিতিতে ছাত্র-ছাত্রীদের কোটাবিরোধী শান্তিপূর্ণ চলমান আন্দোলন দমনে সরকারদলীয় ছাত্র সংগঠন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যে হামলা চালিয়েছে, তা ভীষণ বেদনা ও ঘৃণার। ফলে অপ্রয়োজনে ঝরে গেছে দশটির বেশি তাজা প্রাণ, যার ক্ষতি অপূরণীয়। তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা, শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন এবং খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছে সাদা দলের শিক্ষকগণ।

উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়  (চবি) শিক্ষক সমাজ (সাদা দল) স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, ধর্মীয়মূল্যবোধ, ও বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের আদর্শে উজ্জীবিত একটি শিক্ষক সমাজ।