অর্থনীতি

সূচকের বড় পতন, কমেছে লেনদেন

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বুধবার (২৪ জুলাই) সূচকের বড় পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন আগের কার্যদিবসের চেয়ে টাকার পরিমাণে লেনদেন অনেক কমেছে। একইসঙ্গে লেনদেনে অংশ নেওয়া অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার এবং মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম কমেছে।

ডিএসই ও সিএসই সূত্র জানায়, দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৯৫.৬৬ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৩৫০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসই শরিয়া সূচক ২১৮৭ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৬৯ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ৩৭.২৮ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯০৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

ডিএসইতে মোট ৩৮০টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ২০টি কোম্পানির, কমেছে ৩৫৫টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৫টির।

ডিএসইতে এদিন মোট ১৫৯ কোটি ৩৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৩৭১ কোটি ৫২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।

অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক ১০৮.৪০ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৯ হাজার ২৬২ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৭৭.৯২ পয়েন্ট কমে ১৫ হাজার ৩৮৮ পয়েন্টে, শরিয়া সূচক ১৩.৪৭ পয়েন্ট কমে ৯৯৯ পয়েন্টে এবং সিএসই৩০ সূচক ১৯৪.৩৭ পয়েন্ট কমে ১১ হাজার ৯৯৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

সিএসইতে ১৪২টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৬টি কোম্পানির, কমেছে ১২৬টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১০টির।

দিন শেষে সিএসইতে ২ কোটি ৫১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ১০ কোটি ৮৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।

প্রসঙ্গত, ৫ দিন বন্ধ থাকার পর আজ বুধবার (২৪ জুলাই) দেশের পুঁজিবাজার আবার খুলেছে। তবে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বুধবার কিছুটা কম সময় লেনদেন হয়। আজ বেলা ১১টায় দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন শুরু হয়। দুপুর ২টা পর্যন্ত এ লেনদেন চলে। বৃহস্পতিবারও একই সূচিতে লেনদেন চলবে। নির্বাহী আদেশে দেওয়া ৩ দিনের সাধারণ ছুটির কারণে গত রোববার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত দেশের দেশের সব অফিস-আদালত বন্ধ ছিল। একই কারণে বন্ধ ছিল দেশের পুঁজিবাজারও। কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে সৃষ্ট পরিস্থিতি ও কারফিউ জারির কারণে এ ছুটি ঘোষণা করা হয়। এর আগের দুদিন শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি ছিল।