রাজনীতি

বিভিন্ন অভিযোগে বিএনপির যেসব নেতা গ্রেপ্তার

কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা ও ছাত্র হত্যার প্রতিবাদে গত শুক্রবার (১৯ জুলাই) বাদ জুমা ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে যুগপৎভাবে ‘জাতীয় ঐক্য সমাবেশ ও মিছিল’ করার ঘোষণা দিয়েছিল বিএনপি। তবে পুলিশের বাধায় ওই এলাকায় যেতে পারেননি দলটির নেতাকর্মীরা। দুপুর ১২টার দিকে সেখান থেকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ ছাড়া, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেত্রী নিপুণ রায় চৌধুরী এবং গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক নুরুল হক নুরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, কেন্দ্রীয় নেতা ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব যোবায়ের, শিবিরের সাবেক সভাপতি রাশেদুল ইসলামসহ শতাধিক নেতাকর্মীকে ঢাকা থেকে আটক করা হয়।

শুক্রবার (১৯ জুলাই) রাতে বিটিভি ভবনে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে রাজধানীর রামপুরা থানার মামলায় জামায়াতে ইসলামির নেতা মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ ছয় জনের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

এ মামলায় রিমান্ডকৃত অন্য আসামিরা হলেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সায়েদুল আলম বাবুল, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক, বাগেরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি এম এ সালাম ও বিএনপির সমর্থক মো. মাহমুদুস সালেহীন

গত রোববার (২১ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শেখ সাদীর আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। একই মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুন রায় চৌধুরীর তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।

এ ছাড়া, রাজধানীর বনানীতে সেতু ভবন ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, চুরি ও মারধরের ঘটনায় রাজধানীর বনানী থানার মামলায় গ্রেপ্তার গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

সোমবার (২২ জুলাই) এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশে কারফিউ জারি করার মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়ে জনগণকে চরম দুর্ভোগের মধ্যে নিক্ষেপ করেছে সরকার। কোটাবিরোধী আন্দোলনে বিএনপির নেতাকর্মীদের কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতা না থাকলেও কাল্পনিক অভিযোগ এনে দলটির নেতাদের হেনস্তা করা হচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, রিমান্ডে নিয়ে গ্রেপ্তার নেতাকর্মীদের ওপর চরম নির্যাতন করা হচ্ছে। সার্বিক অর্থে দেশে এখন এক ভীতিকর অবস্থা বিরাজমান বলেও জানান বিএনপি মহাসচিব।