রাজনীতি

মির্জা ফখরুল আবারও উস্কানি দিচ্ছে: কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মিথ্যা তথ্য দিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আবারও উস্কানি দিচ্ছে। তারেক রহমানকে লন্ডন থেকে এনে ক্ষমতায় বসানোর নীলনকশা আজ জাতির সামনে স্পষ্ট হয়ে গেছে।

দেশবাসীকে গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘গুজব একটি সন্ত্রাস, মাদকের মতো। গুজব আপনার সন্তানকে সর্বনাশের দিকে ঠেলে দিতে পারে। কাজেই এই গুজব প্রতিরোধ করতে হবে।’ 

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে মিরপুর, পল্লবী, বাড্ডা, মুগদা এলাকার আওয়ামী লীগনেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, শান্তিপূর্ণ গণতন্ত্রের পথ বিএনপি- জামায়াতের নয়। তারা দেশে অশান্তি সৃষ্টি করে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে রক্তের ওপর দিয়ে ক্ষমতা দখল করতে চায়। তারা নির্বাচন চায় না, গণতন্ত্র চায় না। তারা ক্ষমতায় যেতে চায় সন্ত্রাসী কায়দায়, চোরাগোপ্তা পথে অগ্নিসন্ত্রাস করে তাণ্ডব চালিয়ে।

আরো বড় ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হতে পারে, এ আশঙ্কা ব্যক্ত করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘পরিস্থিতি আজকে শান্তিপূর্ণ, এটাই কিন্তু শেষ নয়। তারা কিন্তু ঘাপটি মেরে বসে আছে। এরা ঘাপটি মেরে বসে আছে, আরো খারাপ পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে। মির্জা ফখরুল কী করে বলতে পারে, বিএনপি আগুনসন্ত্রাসে বিশ্বাস করে না। এই মিথ্যাচারের জন্য নোবেল পুরস্কার থাকলে সেটা মির্জা ফখরুলকে দেওয়া হতো।’

মির্জা ফখরুল ইসলামের প্রতি প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, বিএনপি আগুনসন্ত্রাস করে না! ২০১৩ সালে কে করেছে? ২০১৪ সালে কে করেছে? ২০১৫ সালে কে করেছে? বিএনপি সেই পুরনো দিনের চেহারা আবারও তুলে ধরেছে। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এই আন্দোলনের কুশীলব তারেকের নেতৃত্বে বিএনপি-জামায়াত। এই আন্দোলনে যতক্ষণ শিক্ষার্থীরা ছিল, ততক্ষণ কোনো সহিংসতা বাংলাদেশে হয়নি, পুলিশও সহনশীল ভূমিকা পালন করেছে। সকল পক্ষ ধৈর্য ধারণ করেছে। এই অন্দোলনে বিএনপি-জামায়াতের সশস্ত্র ক্যাডাররা টার্গেট করে হামলা চালিয়েছে। এটা পুরোপুরি পরিকল্পিত। কোথায় কোথায় আক্রমণ করবে, তারা আগে থেকে নীলনকশা তৈরি করেছে এবং তার মহড়া দিয়েছে মাসের পর মাস।’ 

তিনি বলেন, ‘কিছুদিন আগে ঢাকা মহানগরসহ বিভিন্ন জায়গায় বিএনপির কমিটিতে পদায়ন হয়েছে। এই হামলা পরিচালনার জন্য তাদেরকে পদায়ন করেছে। পরিকল্পিতভাবে তাদের পদায়ন করা হয়েছে, কোথায় কে আক্রমণ করবে, কারা সহযোগিতা করবে, সব নীলনকশা আগে থেকে করে রেখেছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সেনাবাহিনী অত্যন্ত দায়িত্বশীলতার সাথে কাজ করছে। কারফিউতে সেনাবাহিনী কোথাও পরিস্থিতি শান্ত করতে একটা গুলি ছুড়েছে, এমন নজির নেই।’

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আব্দুস সবুর, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানসহ কেন্দ্রীয় নেতারা মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন।