পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলায় কবুতর চুরির অভিযোগে ১১ বছর বয়সী শিশুকে গাছে বেঁধে নির্যাতন করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ দুই নারীকে আটক করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সকালে উপজেলার কালিকাঠী গ্রামে শিশু সিয়াম ফকিরকে নির্যাতন করা হয়। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার ফিরোজা বেগম (৫৫) ওই গ্রামের মন্নান মল্লিকের স্ত্রী ও তাদের মেয়ে লাবনী আক্তার (২৬)।
নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম হাওলাদার বলেন, ৯৯৯ এর মাধ্যমে সকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে শিশুটিকে গাছে বাঁধা অবস্থা থেকে উদ্ধার করা হয়। ওই শিশুকে মারধরের অভিযোগে মা ও মেয়েকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মামা অহিদুল শেখ বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
ভুক্তভোগী সিয়ামের ফুফু কুরছিয়া বেগম জানান, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তিনি খবর পান তার ভাইপো সিয়ামকে ফিরোজা বেগম (৫৫) ও তার মেয়ে লাবনী আক্তার কবুতর চুরির অপবাদ দিয়ে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গেছে। সেখানে গিয়ে দেখতে পান সিয়ামকে গাছে বেঁধে মারধর করছেন। তিনি বাধা দিলে তাকেও (ফুফু) তাড়িয়ে দেওয়া হয়। পরে তিনি ৯৯৯ নম্বরে কল করে পুলিশকে জানান তিনি।
ভুক্তভোগী সিয়াম জানায়, তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে মা ও মেয়ে মিলে সুপারির গাছে রশি দিয়ে বেঁধে মারধর করে। সে কবুতর চুরি করেনি বললেও তাকে প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে মারধর করেন তারা।
অভিযুক্ত আটক ওই দুই নারী থানায় বসে বলেন, ‘সিয়াম আমাদের ২০টি কবুতর চুরি করেছে। তাকে মারধর করা হয়নি। শুধু বেঁধে রাখা হয়েছে।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য ফারুক হোসেন হাওলাদার বলেন, শিশুটির বাবার সঙ্গে তার মায়ের সম্পর্ক না থাকায় সে দাদির কাছে থাকে। ওই দিন সকালে শিশুটিকে তার দাদির কাছ থেকে মা ও মেয়ে গিয়ে ধরে নিয়ে আসে। এ সময় দাদি বাধা দিলে তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক জিনাত তাসনিম বলেন, সিয়ামের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতে ক্ষতের চিহ্ন রয়েছে। তার চিকিৎসা চলছে। অবস্থা খারাপ মনে হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য কোথাও পাঠানো হবে।