রাজনীতি

রাষ্ট্রের ওপর হামলা তারেক রহমানের নির্দেশে হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

রাষ্ট্রের ওপর হামলা তারেক রহমানের নির্দেশে হয়েছে। গতকাল তারাই স্বীকারোক্তি দিয়েছে, ছাত্রলীগের কর্মী মারলে ৫ হাজার টাকা, পুলিশ মারলে ১০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘দেশ ও স্বাধীনতাবিরোধী সন্ত্রাস নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের শপথ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন। সাপ্তাহিক গণবাংলা ও বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।

মন্ত্রী আরও বলেন, তারেক রহমানের ভয়েস সরকারের হাতে এসেছে, সে বলছে যে, কারফিউ ভঙ্গ করো, না হলে পদ ছাড়ো। বিএনপির এক নেতা বলেছে-তোমরা আন্দোলনে ঢুকে যাও, নৈরাজ্য সৃষ্টি করো। এভাবে কোনো রাজনৈতিক দল দেশের ক্ষতি করতে পারে না। তারা কোনো রাজনৈতিক দলই হতে পারে না।

মন্ত্রী বলেন, আজ এমন একটা সময়ে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে, যখন স্বাধীনতা বিরোধীদের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে। বাংলাদেশ টেলিভিশন স্থাপিত হয়েছে ১৯৬৪ সালে। কিন্তু বাংলাদেশের ইতিহাসে বিটিভিতে কখনো হামলা, ভাঙচুর হয়নি। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বিটিভির কিছু কর্মকর্তাকে হত্যা করেছিল। কিন্তু কখনো বিটিভিতে হামলা হয়নি। দুর্যোগকালীন সময়ে মানুষ যে মন্ত্রণালয়ে ছুটে যায়, সেই ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ে ভাঙচুর চালিয়েছে তারা।  ঢাকাবাসীর গর্ব, দেশবাসীর গর্ব মেট্রোরেল জ্বালিয়ে দিয়েছে। বিভিন্ন হাইকমিশনারের আইডি হ্যাক করে ভুল বার্তা দিয়ে পোষ্ট করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা প্রথম থেকেই বলে এসেছি, সর্বোচ্চ আদালতের মাধ্যমে সমাধান হবে। আমরা শেষ পর্যন্ত দেখেছি সর্বোচ্চ আদালতের মাধ্যমেই সমাধান হয়েছে। শিক্ষার্থীরা যা চেয়েছিল, তার থেকে বেশিই পেয়েছে। কোটা থাকলেও সবাইকে মেধার মাধ্যমে যোগ্যতা প্রমাণ করতে হয়। সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের ভুল বুঝানো হয়েছে। যদি শিক্ষার্থীরা একটু ধৈর্য ধরতো, তাহলে বিএনপি-জামায়াত এই সুযোগটা পেত না। খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে, এর পেছনে জঙ্গিগোষ্ঠী যুক্ত হয়েছে কি-না।

মন্ত্রী বলেন, বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিটি ঘটনা তদন্তের মাধ্যমে বিচার নিশ্চিত করার ঘোষণা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যারা সাধারণ মানুষ হত্যা করেছে, জনগণের সম্পত্তি ধ্বংস করেছে, প্রত্যেকের বিচার হবে। আমরা এটি করতে বদ্ধপরিকর। ২০১৩ সালে অনেকে ফাঁকফোকর দিয়ে বের হয়েছে, এবার পারবে না।

তিনি বলেন, সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দ্বারা আন্দোলনকারীদের রক্ষা করেছে। লক্ষ্য করে দেখুন, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে কেউ মারা যায়নি, সব বাইরে হয়েছে। অর্থাৎ এর সাথে কোটা সংস্কারের দাবির কোনো শিক্ষার্থী জড়িত নয়। সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশ্বাস দিয়েছেন কোনো শিক্ষার্থী হয়রানির শিকার হবে না।

শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, তোমাদের ব্যবহার করে কেউ যেন অসৎ উদ্দেশ্য হাসিল করতে না পারে, তোমাদের সতর্ক থাকতে হবে।