আন্তর্জাতিক

জনসমর্থন বাড়তে শুরু করেছে কমলা হ্যারিসের

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির সম্ভাব্য নতুন প্রার্থী কমলা হ্যারিসের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের জনসমর্থনের ব্যবধান কমে আসতে শুরু করেছে। হ্যারিসের নির্বাচনী প্রচার শুরুর মাত্র পাঁচ দিন পর এই চিত্রটি উঠে এসেছে।

গত মাসে বিতর্কের পর প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিপরীতে ট্রাম্প যতটা সুবিধাজনক অবস্থানে ছিলেন, সেটা ধীরে ধীরে কমে আসতে শুরু করেছে। বাইডেনের স্থলাভিষিক্ত প্রার্থী হিসেবে কমলা হ্যারিসের নাম আসার পর রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্পের জন্য নির্বাচনী চ্যালেঞ্জটা সত্যিকার অর্থে কঠিন হয়ে উঠছে বলে শুক্রবার জানিয়েছে রয়টার্স।

বৃহস্পতিবার টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের হিউসটনে শিক্ষক ইউনিয়নের সমাবেশে যোগ দেন। সেখানে তিনি ‘ভবিষ্যতের জন্য লড়াই’–এর প্রতিশ্রুতি দেন।  সমাবেশে ৫৯ বছর বয়সী কমলা হ্যারিস অর্থনৈতিক নীতি ও শ্রমিকদের অধিকার, স্বাস্থ্যসেবা ও শিশু পরিচর্যার পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একের পর এক গুলির ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কংগ্রেসে উত্থাপিত অস্ত্র আইন আটকে দেওয়ার জন্য রিপাবলিকানদের কঠোর সমালোচনা করেন তিনি।

প্রেসিডেন্ট বাইডেন গত রোববার নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। এর পর থেকে রয়টার্স/ইপসসসহ বেশ কয়েকটি জনমত জরিপে দেখা গেছে, নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। আগামী দিনগুলোতে নির্বাচনী প্রচার ট্রাম্প ও কমলা হ্যারিসের জন্য বিরাট চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।

বৃহস্পতিবার প্রকাশিত নিউইয়র্ক টাইমস/সিয়েনা কলেজ জাতীয় জরিপে দেখা গেছে, ট্রাম্প প্রতিদ্বন্দ্বী কমলা হ্যারিসের চেয়ে সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন। এই জরিপে ৪৮ শতাংশ মার্কিন ভোটার ট্রাম্পকে এবং ৪৬ শতাংশ কমলাকে সমর্থন জানিয়েছেন।