মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘সংযুক্ত আবর আমিরাতে সম্প্রতি কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনের ঘটনায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সাক্ষ্যপ্রমাণ নিয়ে সেভাবে তাৎক্ষনিক বিচার হয়েছে, ঠিক বাংলাদেশেও এমন অপরাধীদের দ্রুত সময়ে বিচারের আওতায় আনা হবে। সিসিটিভি ফুটেজ ও মোবাইলে ধারণ করা ভিডিওতে দুর্বৃত্তদের চেহারা ধরা পড়েছে।’
শনিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে মাদারীপুরের খাগদী এলাকায় নাশকতাকারীদের দেয়া আগুনে পুড়ে যাওয়া বাস ও তেলের পাম্প পরির্দশন শেষে এ কথা বলে তিনি।
আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘দেশের মধ্যে জঙ্গিরা কোথায় লুকিয়ে আছে সেটা বলা যায় না। দৃশ্যমান জঙ্গিদের নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। গর্তের মধ্যে লুকিয়ে থাকা জঙ্গিরা বিদেশি প্রভুদের মদদে ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। এগুলো একবারে নির্মূল করা সম্ভব হয় না। ভালো মানুষ ভালো চিন্তা করে, খারাপ মানুষের চিন্তা মন্দ হয়।’
তিনি বলেন, ‘বিগত দিনে জামায়াত-শিবিরের আন্দোলন যেভাবে সংসদ সদস্য শাজাহান খান প্রতিহত করেছেন, সেই ক্ষোভেই তার মালিকানাধীন যানবাহন ও তেলের পাম্পে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করেছে দুষ্কৃতকারীরা। যে যানবাহনে সাধারণ মানুষ চলাচল করেন, এগুলো স্বাভাবিক মানুষ কখনোই ক্ষতি করতে পারে না। এটা প্রতিহিংসার জের, এতে কোনো সন্দেহ নেই।’
মন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭১ সালে যেভাবে পাক হানাদার বাহিনীদের সঙ্গে এদেশের দোসর রাজাকার, আলবদর, জামায়াত-শিবির তাণ্ডব চালিয়েছে, ঠিক তেমনি কোটা আন্দোলনের নামে যে ঘটনা, ১৯৭১ সালের হুবহু মিল রয়েছে। হামলাকারীরা চিহ্নিত সন্ত্রাসী, তাদের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শাজাহান খান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসিবুর রহমান খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলাউল হাসান, মাদারীপুরের চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রির সভাপতি হাফিজুর রহমান যাচ্চু খান, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শাহজাহান হাওলাদার প্রমুখ।