সারা বাংলা

পীরগঞ্জে সড়কে ঝরলো বাবা-ছেলেসহ ৩ জনের প্রাণ

রংপুরে পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-ছেলেসহ তিন জনের মৃত্য হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন। শনিবার (২৭ জুলাই) সকালে রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের পীরগঞ্জ উপজেলার বিসমাইল নামক স্থানে এবং একই উপজেলার খালাশপীর-নবাবগঞ্জ সড়কের টুকরিয়া ইউনিয়নের মোনাইল নামক স্থানে দুর্ঘটনা দুটি হয়।

স্থানীয়রা জানান, আজ সকাল ১১ টার দিকে রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের পীরগঞ্জ সীমানার বিশমাইল নামকস্থানে রংপুরের তারাগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ‘অপু ক্লাসিক’ নামে যাত্রীবাহী বাস ও  ট্রাকের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলেই বাস যাত্রী বাবা ও ছেলে মারা যান। আহত হন ১২ থেকে ১৫ যাত্রী। তাদের পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এঘটনায় ট্রাক ও বাস জব্দ করা হয়েছে।

বড়দরগাহ হাইওয়ে ফাঁড়ি থানা পুলিশের ইনচার্জ সোলায়মান শেখ জানান, মহাসড়কের বিশমাইল নামকস্থানে ঢাকাগামী যাত্রীবাহী অপু-ক্লাসিক পরিবহনের বাস (ঢাকা মেট্রো-ব-১১-৮২০০) সঙ্গে রংপুরগামী (ঢাকা মেট্রো-ট-২২-২৬২৭) ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে বাসটি মহাসড়ক থেকে ছিটকে খাদে পড়ে যায়। বাসে থাকা লালমনিহাট জেলার হাতিবান্দার কমলসিন্দুরার বাসিন্দা ফারুক (৩৬) ও তার শিশুপুত্র আড়াই বছরের ইশরাত ঘটনাস্থলেই মারা যান।

এদিকে, একই দিন সকালে উপজেলার খালাশপীর-নবাবগঞ্জ সড়কের টুকরিয়া ইউনিয়নের মোনাইল নামকস্থানে মালবাহী ট্রাকের ধাক্কায় শাহাজাদি (৩৫) নামের এক নারী মোটরসাইকেল আরোহী মারা যান। তিনি উপজেলার বড় আলমপুরের শিমুলবাড়ী এলাকার মোনাজ্জল মাস্টারের স্ত্রী।

পীরগঞ্জ থানার পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম জানান, অভিযোগ না থাকায় মারা যাওয়া মোটরসাইকেল আরোহী শাহাজাদীর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাস দুর্ঘটনায় নিহত বাবা ছেলের মরদেহ বড়দরগাহ হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে রাখা হয়েছে। স্বজনরা সিদ্ধান্ত দিলে মরদেহ মর্গে পাঠানো হবে। হাইওয়ে পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে মামলার প্রস্তুতি চলছে।