তৃতীয় দিনের খেলা শেষ হতে তখনও বাকি প্রায় ২০ ওভার। বৃষ্টিতে প্রথমে খেলা বন্ধ হলো। পরে আলোকসল্পতা। তাতে আয়ারল্যান্ড ও জিম্বাবুয়ের একমাত্র টেস্টটি গড়াল চতুর্থ দিনে। প্রকৃতির বৈরিতা না হলে ম্যাচটা চতুর্থ দিনে গড়াত কিনা সেটাই প্রশ্নের।
কেননা ম্যাচে এখন চরম উত্তেজনা ছড়িয়েছে। জিম্বাবুয়ের এই টেস্ট জিততে চাই ৫ উইকেট। আয়ারল্যান্ড ১২৫ রানে দূরে দাঁড়িয়ে। বেলফাস্টে লাল বলের ক্রিকেটে কার মুখে শেষ হাসি ফোটে সেটাই দেখার। ম্যাচের স্কোরবোর্ডের এখন পর্যন্ত যা অবস্থা, বোলাররাই নিয়ন্ত্রণ করছেন।
প্রথম ইনিংসের পর জিম্বাবুয়ের দ্বিতীয় ইনিংসও বাজে কেটেছে। ২১০ রানের পর সফরকারীদের ইনিংস থেমেছে ১৯৭ রানে। ৪০ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেছিল তারা। কিন্তু নড়বড়ে ব্যাটিংয়ে এবার দুইশর ঘরও ছুঁতে পারেনি ক্রেইগ আরভিন, শন উইলিয়ামসরা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৭ রান করেন ডিওন মায়ার্স। এছাড়া ৪০ রান আসে উইলিয়ামসের ব্যাট থেকে। ২৪ রান করেন জয়লর্ড গুম্বে। বাকিরা কেউ বিশের ঘরও পেরোতে পারেননি। ৪৬ রানে শেষ ৫ উইকেট হারিয়ে ব্যর্থতার ষোলোকলা পূর্ণ করে জিম্বাবুয়ে।
বল হাতে আইরিশদের সেরা ছিলেন অ্যান্ডি ম্যাকব্রিন। ৩৮ রানে ৪ উইকেট নেন তিনি। ২টি করে উইকেট পেয়েছেন ইয়ং ও আডায়ার।
ঘরের মাঠে ১৫৮ রানের লক্ষ্য পায় আয়ারল্যান্ড। মনে হচ্ছিল রানটা তারা সহজেই তাড়া করে ফেলবে। কিন্তু জিম্বাবুয়ের বাঁহাতি পেসার রিচার্ড এনগাভারার তোপে ২১ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। শুরুর ৪ ব্যাটসম্যানের তিনজনই রানের খাতা খুলতে পারেননি। অধিনায়ক অ্যান্ডি বালবিরনে আউট হন ৪ রানে। এছাড়া ১০ রানে সাজঘরে ফিরেছেন পল স্টারলিং।
এনগাভারা ৪টি ও মুজারাবানি ১ উইকেট পেয়েছেন। নতুন বলে দারুণ কার্যকারিতা দেখিয়ে দুই পেসার এলোমেলো করেছেন আয়ারল্যান্ডের ব্যাটিং অর্ডার। চতুর্থ দিনে একই ধারাবাহিকতা থাকলে ম্যাচটা জিম্বাবুয়ের পক্ষেই যাবে। আয়ারল্যান্ডের জিততে হলে দারুণ কিছু করতে হবে।