সারা বাংলা

পাহাড়ি বাজারে আক্কাছের বারোমাসি ফলের দোকান

হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার কামাইছড়া থেকে পাহাড়ের শুরু। পুরাতন মহাসড়ক দিয়ে কামাইছড়া থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার গেলে মুচাই পাহাড়ি বাজার। এ বাজারে প্রবেশ করলে একটি বারোমাসি ফলের দোকান চোখে পড়বে। দোকানটির মালিক মো. আক্কাছ আলী। তার এ দোকানে বারোমাসি ফল পাওয়া যায়। সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত দোকানে ফল বিক্রি চলে। সড়ক দিয়ে চলাচলকারীদের কাছে ফলের এ দোকানটি বেশ জনপ্রিয়।

সরেজমিন দেখা যায়, লোকজন এসে আনারস, কাঁঠাল, পেঁপে, কলা, নাগা মরিচ, আম ও লেবুসহ পাহাড়ি ফল কিনে নিয়ে যাচ্ছে। অনেকে কাঁঠাল কিনে দোকানের পাশের টিলায় বসে খেয়ে যাচ্ছে। অনেকে দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে আনারস কেটে দেওয়ার জন্য বলছে। দোকান মালিক কেটে দিচ্ছেন। 

ক্রেতা ফারুক দেওয়ান বলেন, চারদিকে সবুজ পাহাড়। মাঝখান দিয়ে পুরাতন মহাসড়ক। এ সড়কে যাওয়ার পথে মুচাই বাজারে ফলের দোকান। গাড়ি দাঁড় করিয়ে পাহাড়ি আনারস খেয়ে তৃপ্তি পেয়েছি। বাড়ির জন্য কয়েকটি আনারস কিনে নিয়ে যাচ্ছি।

গাড়ী চালক তারেক তালুকদার বলেন, দোকানে বসে পাকা কাঁঠাল খেয়ে তৃপ্তি পেয়েছি। এর আগে আনারস খেয়েও স্বাদ পেয়েছি। এখানকার ফল খেয়ে মনে হয়েছে বিষমুক্ত। 

ঢাকার বাসিন্দা পারভীন আক্তার। তিনি গাড়ি করে শ্রীমঙ্গলে যাওয়ার পথে দোকানে ফল দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি দাঁড় করিয়ে বেশ কয়েকটি আনারস কিনে নিয়ে যান। তার মতো আরও অনেকেই এ দোকানে এসে ফল কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। খেয়েও যাচ্ছে। 

স্থানীয় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামীমুল হক শামীম বলেন, আক্কাছ আলীর বারোমাসি ফল বিক্রি করেন। লোকজন তার দোকানে এসে ফল ক্রয় করছেন। অনেকে আবার খেয়ে যান। তিনি পাহাড়ি এলাকার বিভিন্ন বাগান থেকে ফলগুলো সংগ্রহ করে থাকেন।

বাহুবল উপজেলার পূর্ব ভাদেশ্বর গ্রামের আব্দুল আলীর ছেলে দোকান মালিক মো. আক্কাছ আলী বলেন, পাহাড়ি এলাকার বাগান থেকে আনারস, কলা, কাঁঠাল, পেঁপে, নাগা মরিচ, আম ও লেবু ক্রয় করে নিয়ে এসে দোকানে বিক্রি করছি। এভাবে সুনামের সাথে প্রায় ১৮ বছর ধরে ফল বিক্রি করে আসছি। এসব ফল বিক্রিতে প্রতিদিন আমার ৭০০ থেকে ১ হাজার টাকা লাভ হয়। বিষমুক্ত বলেই লোকজন আমার দোকানের ফল কিনতে আসে।