কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় নিহতদের স্মরণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) দিনব্যাপী শোক পালন করা হয়েছে। তবে এ শোক প্রত্যাখান করেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
এর আগে, সোমবার সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক দেশব্যাপী একদিনের শোক পালনের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এরই অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের অফিস কক্ষে কালো ব্যাজ ধারণ কর্মসূচি পালন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. একিউএম মাহবুব, কোষাধ্যক্ষ বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মো. মোবারক হোসেন, রেজিস্ট্রার মো. দলিলুর রহমান, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মো. শরাফত আলী, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এসএম গোলাম হায়দার, বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৌশলী এসএম এস্কান্দার আলী, অর্থ ও হিসাব দপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন প্রমুখ।
পরে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় বাদ যোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়া মাহফিল এবং বিকেলে কেন্দ্রীয় মন্দিরে বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়।
অন্যদিকে, এ শোক কর্মসূচি প্রত্যাখান করেছেন বশেমুরবিপ্রবির বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা। একইদিন সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়করা এ সংক্রান্ত একটি বিবৃতিও প্রদান করেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের তাজা রক্ত ও ঝরে যাওয়া সব প্রাণের দায় রাষ্ট্রের। প্রতিবাদের সাংবিধানিক অধিকারকে দমন করতে রাষ্ট্র তার বাহিনীকে সাধারণ ছাত্র-জনতার উপরে লেলিয়ে দিয়ে পাখির মতো হত্যা করেছে। এ হত্যাযজ্ঞের সব দায় একমাত্র রাষ্ট্রের। নিষ্পাপ শিশু, শিক্ষার্থী ও জনগণের রক্ত ঝরিয়ে রাষ্ট্রের এই শোকদিবস পালন ঘৃণ্য প্রহসন ছাড়া কিছুই নয়। লোক দেখানো, মানুষের আবেগ নিয়ে খেলা করার উদ্দেশ্যে, মানুষকে বোকা বানিয়ে ভিন্ন উদ্দেশ্য হাসিলের এ শোক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে।