আন্তর্জাতিক

তেহরানে হানিয়াকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে হাজারো মানুষের ঢল

ইরানের রাজধানী তেহরানে নিহত হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় উপস্থিত হয়েছেন। কাতারে হামাস নেতাকে দাফনের আগে আজ বৃহস্পতিবার তেহরানে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা পড়িয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। 

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, সকাল থেকেই শোকসন্তপ্ত হাজার হাজার মানুষ হানিয়ার ছবিযুক্ত পোস্টার ও ফিলিস্তিনি পতাকা নিয়ে সিটি সেন্টারে তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে জমায়েত হতে শুরু করে।

জানাজার নামাজের পর একটি মিছিল তেহরানের আজাদী (স্বাধীনতা) স্কয়ারের দিকে যাওয়া হবে। এরপর দাফনের জন্য হানিয়ার মরদেহ কাতারের দোহায় নিয়ে যাওয়া হবে।

ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গত মঙ্গলবার কাতার থেকে ইরানে গিয়েছিলেন হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়া। পরদিন তেহরানে তার আবাসস্থলে নিহত হন হানিয়া।

ইসরায়েল গুপ্তহত্যা চালিয়ে হানিয়াকে হত্যা করেছে বলে দাবি করেছে ইরান ও হামাস। তবে এ নিয়ে তেল আবিবের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। অবশ্য ইসরায়েল এর আগে, গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার ঘটনায় গাজা যুদ্ধ শুরুর সময় ইসমাইল হানিয়া এবং অন্যান্য হামাস নেতাদের হত্যা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।

তেহরানে হানিয়াকে হত্যার ঘটনায় ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি তার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গতকাল এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘হামাস নেতার মৃত্যুর প্রতিশোধ নেওয়া তেহরানের কর্তব্য। আমাদের প্রিয় অতিথিকে হত্যা করে ইসরায়েল নিজের জন্য কঠোর শাস্তি প্রস্তুত করেছে।’  

এদিকে ইসরায়েলের চ্যানেল ১২ জানিয়েছে, তেল আবিব কূটনৈতিক ব্যাকচ্যানেলের মাধ্যমে ইরানকে বার্তা পাঠিয়েছে যে, ইরান এবং তার প্রক্সিরা যদি দেশটির বিরুদ্ধে কোনও আক্রমণ চালায় তাহলে ইসরায়েল পূর্ণ মাত্রার যুদ্ধে চলে যাবে।

পাল্টাপাল্টি এই অবস্থানের ফলে গাজায় যুদ্ধ চলার মধ্যেই মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।